ফেসবুকে ভাইরাল সেই গাড়ি আজহারির নয়!

  © সংগৃহীত

বিলাসবহুল একটি গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে আছেন হালের জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মিজানুর রহমান আজহারী। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে গাড়িটির পাশে দাড়িয়ে তিনি। বেন্টলি ব্র্যান্ডের গাড়িটি দাম বাংলাদেশের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। 

কয়েকদিন ধরে এমন ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এর পক্ষে-বিপক্ষে চলছে তর্ক-বিতর্ক। আগামী মার্চ পর্যন্ত ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে মালয়েশিয়ায় যাওয়া আজহারীর পক্ষে-বিপক্ষে চলছে ভার্চুয়াল যুদ্ধ।

আজহারী বিরোধীদের মতে, ইসলামের পক্ষের হয়েও কীভাবে মালয়েশিয়ায় বিলাসবহুল গাড়ি কেনেন তিনি? তারা এও বলেছেন, কোটি কোটি টাকা কামিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করতে মালয়েশিয়ায় গেছেন তিনি।

তবে গাড়িটি আজহারীর নিজের নয় বলে একটি সূত্র দাবি করেছে। আর সেটি মালয়েশিয়ায় গিয়েও চালাননি তিনি। ছবিগুলো অনেক আগের। গাড়ির মালিক নাম সাহিদুজ্জামান টরিক। আজহারীর ঘনিষ্টজন তিনি, যাকে বড় ভাই ডাকেন।

টরিকের ঘনিষ্ট একজন গণমাধ্যমকে জানান, টরিক সিঙ্গাপুর-বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্সের সাবেক সভাপতি। তার বাড়ি চুয়াডাঙ্গায়। কিছুদিন আগে টরিকের নিমন্ত্রণে মাহফিলে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে যান আজহারী। সে সময় ওই গাড়িতে চড়ে সিঙ্গাপুর ঘোরেন।

এমনকি তিনি নিজেও অল্প সময় গাড়িটি চালান। সে সময় তোলা ছবিগুলো এখন ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। ওই ব্যক্তি জানান, গাড়ির নেমপ্লেট দেখলেই বোঝা যাবে এটা মালয়েশিয়ার গাড়ি নয়। ‘SJZ888IR’ লেখা এমন নেমপ্লেট সিঙ্গাপুরের গাড়িতে থাকে।

আজহারীর সঙ্গে সাহিদুজ্জামান টরিকের বন্ধুত্ব রয়েছে। গত ১৬ ডিসেম্বর চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে আজহারী যোগ দেন। সেখানকার পাঁচকমলাপুর দারুল উলুম হাফেজিয়া কওমি মাদ্রাসার পরিচালকই সাহিদুজ্জামান।

সেদিন মুসল্লিরা জায়গা না পেয়ে আশপাশের রাস্তা ও যানবাহনে দাঁড়িয়ে আজহারীর বক্তব্য শোনেন। বক্তব্যের সময় টরিককে তার পাশেই দেখা গেছে। সেখানে আজহারী বলেছিলেন, আয়োজক সাহিদুজ্জামান টরিক আমার বড়ভাই। সিঙ্গাপুর গেলে আমি তার কাছে থাকি।


সর্বশেষ সংবাদ