লাহোরে বাংলাদেশ দলকে নিরাপত্তা দেবে ১০ হাজার পুলিশ
পাকিস্তানের বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিচ্ছে পাকিস্তানের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। প্রথম দফায় বাংলাদেশ-পাকিস্তানের তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের সবক’টিই হবে লাহোরে। তাই লাহোর কেন্দ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করেছে পাকিস্তান সরকার। সফরে বাংলাদেশ দলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে দেশটির সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা, পুলিশ বাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্স।
তিন দফা সফরে প্রথম অনুষ্ঠিত হবে হবে টি-২০ সিরিজ। আগামী ২৪ জানুয়ারি শুরু হওয়া সিরিজ নিয়ে নিরাপত্তার ছক আঁকতে শনিবার বৈঠকে বসেছিল আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি। পাঞ্জাবের আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীকে আহবায়ক করে গঠিত এ কমিটি বৈঠকে বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করে।
আহবায়ক রাজা বাসরাত বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিকল্পনা কোনোরকম খুঁত রাখা যাবে না। এ জন্য ইসলামাবাদ পুলিশের সঙ্গে রাওয়ালপিন্ডি পুলিশকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।’
পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় বাংলাদেশ দলকে নিরাপত্তা দিতে একটি বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ দলের হোটেল এবং মাঠে যাওয়ার পথে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবেন তামিম-মাহমুদউল্লাহর। লাহোরে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজে বাংলাদেশ দলকে নিরাপত্তা দিতে মোতায়েন করা হবে ১০ হাজার পুলিশ। বড় ধরনের সমস্যা হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে তৈরি থাকবেন ১৯ জন বিশেষ কর্মকর্তা, সামরিক কমান্ডো এবং রেঞ্জার্স। এছাড়াও স্টেডিয়ামের আশে-পাশের এলাকায় ও বাংলাদেশ দলের হোটেলে থাকবে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।
সফরের প্রথম দফায় লাহোরে ২৪, ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এরপর দ্বিতীয় দফায় রাওয়ালপিন্ডিতে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম টেস্ট খেলবে টাইগাররা। আর তৃতীয় ও শেষ দফায় আবারো পাকিস্তানে গিয়ে ১টি ওয়ানডে এবং দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। করাচিতে ৩ এপ্রিল ওয়ানডে এবং ৫ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ।
তিন মাসে তিনবার পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ। প্রথম দফায় চলতি মাসে লাহোরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দফায় রাওয়ালপিন্ডিতে ফেব্রুয়ারিতে খেলবে একটি টেস্ট।
লাহোরে ২৪, ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্ট গড়াবে ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি। এরপর ৩ এপ্রিল করাচিতে গড়াবে একটি ওয়ানডে এবং ৫-৯ এপ্রিল দ্বিতীয় টেস্ট।
আপাতত এ দুই সফরে বাংলাদেশ দলের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে শনিবার বৈঠকে বসেছিল আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি। পাঞ্জাবের আইন ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন এটির আহ্বায়ক।
পাকিস্তানের ইংরেজি ভাষার সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, এ সভায় বাংলাদেশ দলের জন্য একটি বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ দলের হোটেল এবং মাঠে যাওয়ার পথ-এ দুটি জায়গায় নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকবেন ক্রিকেটাররা। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এ শহরে বাংলাদেশ দলকে নিরাপত্তা দিতে মোতায়েন করা হবে ১০ হাজার পুলিশ। কোনো সমস্যা হলে দ্রুতগতিতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তৈরি থাকবেন ১৯ জন বিশেষ কর্মকর্তা, সামরিক কমান্ডো এবং রেঞ্জার্স। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের জন্য নিরাপত্তা দেবেন সামরিক ব্যাটালিয়ন, রেঞ্জার্স উইং এবং ৪ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য।
আহ্বায়ক রাজা বাসরাত বৈঠকে বলেন, নিরাপত্তা পরিকল্পনা কোনোরকম খুঁত ছাড়া সময়মতো প্রয়োগ করতে হবে বাংলাদেশ দলের জন্য। প্রস্তাবিত এ নিরাপত্তা পরিকল্পনায় সাধারণ জনগণের যেন ভোগান্তি না হয় সে ব্যাপারেও লক্ষ্য রাখার কথা বলেছেন তিনি। ইসলামাবাদ পুলিশের সঙ্গে রাওয়ালপিন্ডি পুলিশকে সমন্বয় করে কাজ করতে বলেছেন তিনি।