১৯ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৩৫

রাজকীয় উপাধী হারালেন হ্যারি-মেগান

  © সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের পদবী হারালেন প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেল। একইসঙ্গে রাজকীয় দায়িত্বের জন্য তারা আর পাবলিক তহবিলও গ্রহণ করতে পারবে না।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বাকিংহাম প্রাসাদের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে এ ঘোষণা এখনই কার্যকর হবে না। আসছে বসন্ত থেকে তারা আর ব্রিটেনের রানির প্রতিনিধিত্বও করবেন না।

গত ৮ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ঘোষণা করেন, এ বিষয়ে হ্যারি-মেগান দম্পতি জানিয়েছেন, ব্রিটেনে নিজেদের ফ্রগমোর কটেজ সংস্কার করতে যে সরকারি অর্থ অর্থাৎ প্রায় ২৫ লাখ পাউন্ড খরচ হয়েছে, তা তারা পরিশোধ করে দেবেন। এছাড়া যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে তারা এখন থেকে ওই কটেজেই থাকবেন বলে জানা গেছে।

ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য বা ‘সিনিয়র রয়্যালস’ এই খেতাব আর ব্যবহার না করলেও রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। হ্যারির ব্রিটিশ রাজপরিবার ছাড়ার ঘোষণায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথ। তিনি জানান, এমন সিদ্ধান্তে ব্যাথিত হয়েছেন তিনি।

শনিবার রানির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কয়েক মাসের কথাবার্তা এবং সাম্প্রতিক আলোচনার ভিত্তিতে রানি মনে করেন, তার নাতি এবং তার পরিবার পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে এগিয়ে যাবে। রানি বলেন, ‘হ্যারি-মেগান ও তাদের সন্তান আর্চি সব সময় আমার পরিবারের অতি আপনজন হয়ে থাকবে।’

এর আগে হঠাৎ রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে হৈচৈ ফেলে দেন হ্যারি-মেগান দম্পতি। তখন তারা বলেন, জনগণের অর্থের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজেরা আয় করে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে চাই। একইসঙ্গে সন্তান নিয়ে ভাগাভাগি করে ব্রিটেন ও উত্তর আমেরিকায় সময় কাটানোর কথা জানান তারা।

এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তে চমকে ওঠে ব্রিটিশ রাজপরিবার। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন রাজপরিবারের সিনিয়র সদস্যরা। যার ফল আসে হ্যারি-মেগানের ঘোষণা মতোই।