বাবার শাহাদাতে ইরাক-ইরানিদের বন্ধন শক্তিশালী হয়েছে: মেয়ে
মার্কিনিদের হাতে গুপ্তহত্যার শিকার ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানির জানাজায় অংশ নিয়ে আবেগঘন বক্তব্য দিয়েছেন মেয়ে জয়নাব সোলাইমানি। এসময় তিনি তার বাবার শাহাদাতের ঘটনায় ইরাক-ইরানির মধ্যে বন্ধন আরও শক্তিশালী হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
সোমবার (০৬ জানুয়ারি) ইরানের রাজধানী তেহরানে সোলাইমানির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে রূপ নেয় তেহরান।
এসময় বাবার জানাজায় দাঁড়িয়ে জনতার উদ্দেশে বক্তব্য দেন জয়নাব। মার্কিন প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ট্রাম্প, তুমি ভেব না বাবার শাহাদাতেই সব শেষ হয়ে গেছে। গোটা বিশ্ব দেখছে ইরাক ও ইরানের মানুষ কীভাবে তাদের বীরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। ট্রাম্প ইরানি ও ইরাকি জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু এই শাহাদাতের ঘটনা দুই জাতির মধ্যে বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করেছে, তারা চিরস্থায়ী বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে’।
জয়নাব বলেন, আমেরিকা ও দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইল জেনে রাখো বাবার শাহাদাতের ফলে গোটা বিশ্বের প্রতিরোধ ফ্রন্টের মধ্যে মানবিকতা আরও বেশি জাগ্রত হবে।
‘এখন থেকে পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সেনাদের স্ত্রী-সন্তানদেরকে তাদের স্বামী অথবা বাবার মৃত্যুর আশঙ্কায় প্রহর গুনতে হবে।’
বাবার মৃত্যু আমেরিকা ও ইসরাইলের জন্য দুর্দিন ডেকে এনেছে বলেও মন্তব্য করেন জেনারেল সোলাইমানির মেয়ে। শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের এক হামলায় ইরানের কুদস বাহিনীর ক্ষমতাধর জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশেই সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের পর ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে।
হত্যার পর মার্কিন সদর দফতর পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাগদাদে নিযুক্ত মার্কিন কর্মকর্তাদের হত্যা করার গোপন পরিকল্পনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি নয় বরং যুদ্ধ পরিস্থিতি এড়াতেই কাসেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়েছে।