জেনারেল কাসেম হত্যায় কঠোর প্রতিশোধ নেবে ইরান
ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডসের অভিজাত বাহিনী কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলাইমানি হত্যায় কঠোর প্রতিশোধ নেবে ইরান।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর (আইআরজিসি) কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলায়মানির নিহত হওয়ার শোকবার্তায় খামেনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। এ সময় তিনি ইরানে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন।
এ সময় তিনি বলেন, বিশ্বের কুচক্রি ও শয়তানি শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে একনিষ্ঠ ও বীরোচিত জিহাদ চালিয়ে গেছেন জেনারেল সোলায়মানি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শাহাদাতের অমীয় সুধা পান করার যে আকাঙ্ক্ষা পোষণ করতেন শেষ পর্যন্ত সেই উচ্চ মর্যাদায় তিনি অধিষ্টিত হয়েছেন; তবে তার রক্ত ঝরেছে মানবতার সবচেয়ে বড় দুশমন ও সবচেয়ে জালিম শাসক আমেরিকার হাতে। তবে সোলায়মানির চলে যাওয়ায় তার রেখে যাওয়া পথ বন্ধ হবে না।
আয়াতুল্লাহ খামেনির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সোলাইমানির হত্যাকাণ্ডের পর তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরোধের প্রেরণা দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, মহৎ এ যুদ্ধে যোদ্ধাদের জন্য নিশ্চিত জয় অপেক্ষা করছে। শত্রুদের জেনে রাখতে হবে, প্রতিরোধের জিহাদ আরও দ্বিগুণ প্রেরণায় চলতে থাকবে।
ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের সাবেক কমান্ডার মোহসেন রেজাই যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিশোধের আগুনে পুড়তে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘শহীদ ভাইদের সঙ্গে যুক্ত হলেন সোলাইমানি। তবে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ভয়ংকর প্রতিশোধ নেব।’
তেহরান থেকে আল জাজিরার এক প্রতিনিধি বলেছেন, দেশটি থেকে শক্তিশালী জবাব আসতে পারে। একটা বিষয় পরিষ্কার,, কোনো একসময় সামরিক জবাব আসতে পারে।
জেনারেলের মৃত্যু সংবাদ উপস্থাপনের সময় কালো পোশাক পরেন উপস্থাপনকারী। এতে সোলাইমানির কৃতিত্বের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।
ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই সোলাইমানিকে হত্যার ঘটনা ঘটল। গত মঙ্গলবার বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে ইরান-সমর্থিত লোকজন সহিংস প্রতিবাদ জানায়।