ভারতের দূতকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান, বাণিজ্যও স্থগিত
ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ফলে ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তারা। এছাড়া ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের বহর কমিয়ে দেওয়া হবে বলেও সরকারিভাবে জানানোর পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল ইসলামাবাদ।
বুধবার (৭ আগস্ট) পাকিস্তানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল (এনএসসি) এ ঘোষণা দেন। বিষয়টি জাতিসংঘে তোলা হবে বলেও ঘোষণা করেছেন ইমরান খানের সরকার। তবে পাকিস্তানের এই ঘোষণার পর নয়াদিল্লি এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি এ ঘোষণা দেন। ইমরান খান বলেন, ভারতের ‘একপাক্ষিক ও অনৈতিক’ সিদ্ধান্ত দুদেশের সম্পর্ক দুর্বল করে তুলেছে।
ওই বৈঠকের পর মূলত পাঁচটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার। বিষয়গুলো হলো:
*ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত
* দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত
* দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ব্যবস্থাপনা পুনরায় পর্যালোচনা
* কাশ্মীর সঙ্কটকে নিরাপত্তা পরিষদসহ জাতিসংঘে তুলে ধরা
* ১৪ আগস্টে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসকে কাশ্মীরের সাহসী জনগণের লড়াইয়ে সংহতি জানিয়ে উদযাপন
পাকিস্তান বরাবরই দাবি করে, কাশ্মীরের সমস্যা দ্বিপাক্ষিক নয়, আন্তর্জাতিক। যদিও ভারতের ঘোষিত নীতি হল, কাশ্মীর ইস্যু দ্বিপাক্ষিক। এই কারণেই তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতাতেও পাকিস্তান আপত্তি করে না।
বুধবারের বৈঠকেও নিজেদের এই অবস্থানের প্রেক্ষিতেই ইমরান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভারতের এই ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার বিষয়টি জাতিসংঘে নিয়ে যাবে। পাকিস্তান স্বাধীনতা দিবস পালন করে ১৪ অগস্ট। এ বারও পাক অধিকৃত কাশ্মীরিদের নিয়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হবে বলেও বৈঠকের পর ঘোষণা করেছে ইসলামাবাদ।
Prime Minister Imran Khan chaired a meeting of NSC at Prime Minister’s Office. Committee discussed situation arising out of unilateral & illegal actions by Indian govt, situation inside Indian Occupied J&K and along LOC.
The Committee decided to take following actions: pic.twitter.com/2wVySU4IxP— Govt of Pakistan (@pid_gov) August 7, 2019