বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুষ্টুমির বন্ধুত্ব
দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ লাইফ পার করে শিক্ষা জীবনের বড় স্টেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্পণ। সবারই জীবনে কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মজা ও আনন্দ করতে নেই মানা। নিয়মিত ক্লাস করা, সংগঠনে যাওয়া, খেলাধুলা করা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ। বিশেষ করে এসব মাধ্যমেই গড়ে উঠে বন্ধুত্ব।
কখনো ছিন্ন হয় না আত্মার বাধন। বন্ধু শব্দ বলে বোঝানো যায় না, শুধু অনুভবের বিষয়। বিভিন্ন জেলা থেকে নতুন নতুন মানুষ গুলা মিলে যায় বন্ধুত্বের এক মেলবন্ধনে। বন্ধুত্বে কোন ধর্ম নেই, নেই বংশ গৌরব। সবাই মিলে যায় এক বিন্দুতে। বিপদে সবাই ছুটে যায় বন্ধুর পাশে।
ভ্রমণে বের হওয়া:
একসাথে দলবেঁধে ঘুরতে বের হওয়ার মজাটাই আলাদা। আর সাথে যদি বন্ধুরা থাকে সেটা বলে বোঝানো যায় না। খুবির পাশেই বয়ে গেছে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য রূপসা নদী। সারাবছর নাব্যতার সৌন্দর্য ও ঢেউের খেলা বিমোহিত করে তোলে। তার উপরেই সুউচ্চ রূপসা সেতু। শিক্ষার্থীরা সুযোগ পেলেই ঘুরে আসে রূপসা সেতু। ৭নং রূপসা ঘাটে নৌকা ভ্রমণ। দলবেঁধে ষাট গম্বুজ মসজিদ ভ্রমণে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে অহরহ।
ক্যাম্পাসে আড্ডা:
ক্লাস শেষ কিংবা অবসরে ক্যাম্পাসে আড্ডা দেওয়া একটুখানি মনে প্রশান্তি এনে দেয়। সারাদিনের পড়াশোনার পাশাপাশি বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা জমে ওঠে ক্যাম্পাসের অদম্য বাংলায়। লিটন কিংবা সিদ্দিক ভাইয়ের জুস খেতে খেতে কত রাত কেটে যায় খেয়াল থাকে না। তপন দাদার দোকানে বসে কেটে যায় সারাদিনের ক্লাস করার ক্লান্তি। রাতের আধারে ক্যাম্পাসে ঘোরাঘুরি বলে বোঝানো যায় না।রাতের আধারে পাখির কিচিরমিচির ডাক, ঝিঝি পোকার ডাকে সবাই হারিয়ে যায়।
দুষ্টুমি:
ক্যাম্পাসে বন্ধুদের বার্থডে কেমন উদযাপন হয়। সেটা সেই জানে যে এই চক্রে একবার পড়েছে। কিল, ঘুষি, থাপ্পড় বন্ধুরা তো মেরেই থাকে। কেক কাটার পর কি যে হয়। কেউ বা ব্যস্ত থাকে মাথায় ডিম ফাটাতে। আটা-ময়দা মাখাতেও ভুল করে না কেউ। সবশেষে পুকুরে ফেলে দিয়ে পরিষ্কার করানো। অহরহ খুবি ক্যাম্পাসে দেখা যায় এসব পাগলামি।
বন্ধুত্বের বন্ধন একদিনে গড়ে ওঠে না। আবার একদিনে শেষও হয় না। বিশ্ববিদ্যালয় শেষে স্মৃতি বলতে ক্যাম্পাসে কাটানো হাজার মূহুর্তগুলো। ক্যাম্পাসে কেউ জিতে যায় নাই। জয় হয় বন্ধুত্বের। বন্ধুর প্রতি কারও মনে থাকে না হিংসা। সবাই চায় আমার বন্ধুটা জিতে যাক। আর এভাবেই তো সব বন্ধু জিতে যায়।