মোদির শপথ অনুষ্ঠানে থাকছেন সোনিয়া-রাহুল
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বড় জয়ের পর দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। সন্ধ্যা ৭টায় রাইসিনা হিলসে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। মোদির সঙ্গে মন্ত্রিসভার সদস্য শপথ নেবেন আজ।
নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। থাকছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও। এ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এ অনুষ্ঠানে প্রথমে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও পরে তা বাতিল করেছেন। বুধবার টুইট করে শপথ অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংও শপথ অনুষ্ঠানে থাকছেন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ যোগ দিচ্ছেন মোদির এ শপথ অনুষ্ঠানে। মোদির প্রথমবারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রতিবেশী দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু এবার বিমসটেক সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পাকিস্তানকে এড়াতে এ সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ, মিয়ানমার, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটানের প্রতিনিধিরা শপথ অনুষ্ঠানে থাকছেন।
সোনিয়া গান্ধীর উপস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। নির্বাচন চলাকালীন তারা একে অপরের কটাক্ষ ও সমালোচনায় মেতে ছিলেন। এমনকি রাজীবের বাবা ও ভারতের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকেও আক্রমণ করে বসেন নরেন্দ্র মোদি। পাল্টা জবারে মোদির রুচি আর শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাহুল।
এদিকে নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন প্রিয়াংকা গান্ধীর সামনে শিশুদের মুখে নরেন্দ্র মোদি বিষয়ে বিরূপ স্লোগানের একটি ভিডিও বেশ সমালোচনার জন্ম দেয়। এতকিছুর পর আজ মোদি-রাহুলের সাক্ষাৎ কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা চললেও পেছনের সব ঘটনাকে নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবেই জানাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এদিকে টুইটে মমতা অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে একটি দল। মঙ্গলবার রাতে মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়- গত ছয় বছরে পশ্চিমবঙ্গে খুন হওয়া বিজেপিকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠানে ‘বিশেষ আমন্ত্রিত’ হিসেবে রাখা হবে।
প্রসঙ্গত ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনের ফল ২৩ মে ঘোষণা করা হয়। এতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ পেয়েছে ৩৫৩ আসন। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ছিলো ২৭২টি আসন। বিজেপি এককভাবে ৩০৩ আসন পেয়েছে।