২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১৯

হাতের তালুতে পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে আত্মহত্যা করলেন নারী চিকিৎসক

প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাতারা জেলার ফলতন এলাকায় এক নারী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। মৃত্যুর আগে নিজের হাতের তালুতে লেখা একটি নোটে তিনি দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাতে ফালতান এলাকার একটি হোটেল কক্ষে ওই চিকিৎসককে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনি বীড জেলার বাসিন্দা এবং ফালতানের একটি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।

দেশটির সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের তথ্যমতে, নোটে তিনি অভিযোগ করেন, সাব-ইন্সপেক্টর গোপাল বাদানে গত পাঁচ মাসে একাধিকবার তাকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি করেছেন। এছাড়া প্রশান্ত বাঙ্কার নামের আরেক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন তিনি।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীর হাতে থাকা সুইসাইড নোটটি পর্যালোচনা করে অভিযোগের বিষয়গুলো তদন্ত করা হচ্ছে।

এদিকে মহারাষ্ট্র নারী কমিশনের প্রধান রুপালি চাকঙ্কর বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের রেহাই দেয়া হবে না। আমরা বিষয়টি আমলে নিয়েছি এবং সাতারা পুলিশকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি। অভিযুক্তদের খুঁজে বের করার জন্য টিম মোতায়েন করা হয়েছে।’

ওই চিকিৎসকের এক চাচাতো ভাই এএনআইকে জানান, ভুল ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তৈরি করার জন্য তার ওপর পুলিশের এবং রাজনৈতিক মহলের প্রচুর চাপ ছিল। তিনি এ বিষয়ে অভিযোগ করার চেষ্টাও করেন। তিনি বলেন, ‘আমার বোনের ন্যায়বিচার পাওয়া উচিত।’

সুইসাইড নোট প্রকাশ পাওয়ার পর কংগ্রেস নেতা বিজয় নামদেবরাও ওয়াদেত্তিওয়ার রাজ্যের ক্ষমতাসীন মহাযুতি তীব্র সমালোচনা করেছেন বিজেপি সরকারের। তিনি এক্স বার্তায় লেখেন, ‘পুলিশের কর্তব্য হল রক্ষা করা, কিন্তু যদি তারা নিজেরাই একজন মহিলা ডাক্তারকে শোষণ করে, তাহলে ন্যায়বিচার কীভাবে হবে? এই মেয়েটি আগে অভিযোগ দায়ের করার পরেও কেন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি?’