১০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৮

ট্রাম্পের নোবেল পাওয়ার ভাগ্য যে পাঁচ বিচারকের হাতে 

ছবিতে বাম থেকে ডানে দাঁড়িয়ে আছেন গ্রি লার্সেন, অ্যান এঙ্গার, কমিটির চেয়ারম্যান ইয়োরগেন ওয়াটনে ফ্রিডনেস, ক্রিস্টিন ক্লেমেট এবং আসলে তোয়ে  © সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার নোবেল শান্তি পুরস্কার কে পাচ্ছেন, তা ঠিক করেন নরওয়ের পাঁচ সদস্যের নোবেল কমিটি। এই কমিটির হাতেই রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বহু কাঙ্ক্ষিত সম্মাননা পাওয়ার ভাগ্য।

ট্রাম্প বারবার দাবি করে আসছেন, তিনি বিশ্বজুড়ে অন্তত আটটি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন এবং এর স্বীকৃতি হিসেবে নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্য তার। এমনকি তিনি বলেছেন, যদি তিনি এই পুরস্কার না পান তাহলে সেটি আমেরিকার প্রতি বড় অবমাননা হবে।

২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩ টায় নরওয়েজিয়ান নোবেল ইনস্টিটিউট, ওসলোতে।

কে ঠিক করেন শান্তি পুরস্কারের বিজয়ী
নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটি গঠন করা হয় নরওয়ের সংসদ দ্বারা। কমিটির সদস্যরা রাজনৈতিক দলগুল থেকে মনোনীত হলেও, তারা সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না। প্রত্যেক সদস্যের মেয়াদ ছয় বছর এবং পুনরায় নিয়োগ পাওয়ার সুযোগও রয়েছে।

নোবেল কমিটির ৫ বিচারক যারা

ইয়োরগেন ওয়াটনে ফ্রিডনেস
নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান ৪১ বছর বয়সী ইয়োরগেন ওয়াটনে ফ্রিডনেস। সবচেয়ে কম বয়সী চেয়ারম্যান তিনি। মানবাধিকারকর্মী, পেন নরওয়ে এর সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল তিনি। তিনি নরওয়ের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সমর্থক বলে ধারণা করা হয়। ২০১১ সালে নরওয়ের উতুয়া দ্বীপে ডানপন্থী হামলায় নিহত লেবার দলের ৬৯ তরুণ কর্মীর স্মৃতিফলক তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।

আসলে তোয়ে
নোবেল কমিটিরভাইস চেয়ারম্যান ৫১ বছর বয়সী আসলে তোয়ে। একসময় নোবেল ইনস্টিটিউটের রিসার্চ ডিরেক্টর ছিলেন তিনি।

অ্যান এঙ্গার
অ্যান এঙ্গার ৭৫ বছর বয়সী সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী (অস্থায়ী)। দেশটির সেন্টার পার্টির সমর্থক এবং একসময় গর্ভপাতবিরোধী আন্দোলনের নেত্রী ছিলেন।

ক্রিস্টিন ক্লেমেট
৬৮ বছর বয়সী ক্রিস্টিন ক্লেমেট কনজারভেটিভ পার্টির রাজনীতিক ছিলেন। তিনি নরওয়ের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এবং অর্থনীতিবিদ।

গ্রি লার্সেন
৪৯ গ্রি লার্সেন নরওয়ের লেবার পার্টির সাবেক স্টেট সেক্রেটারি ও কেয়ার নরওয়ে-এর সাবেক প্রধান। বৈশ্বিক নারী অধিকার নিয়ে কাজ করেন তিনি। ট্রাম্পের বিদেশি সাহায্য কমিয়ে দেওয়ার তীব্র সমালোচক ছিলেন।