২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:০৭

পশ্চিম তীর দখলের অনুমতি দেওয়া হবে না: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

ডোনাল্ড ট্রাম্প   © সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে অধিকৃত পশ্চিম তীর দখলের অনুমতি দেবেন না। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে নেতানিয়াহুর বক্তব্যের আগে হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর দখল করতে দেব না.. এটা হতে দেওয়া হবে না।’

সোমবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে ট্রাম্পের। একইসঙ্গে তিনি জানান, গাজা নিয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি ‘অনেকটাই কাছাকাছি’ এসেছে। ইসরায়েল গাজা যুদ্ধ ও পশ্চিম তীর দখল নিয়ে ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে। একের পর এক পশ্চিমা দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুর সরকারে থাকা চরম ডানপন্থী নেতারা সরাসরি পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের সঙ্গে একীভূত করার দাবি জানিয়ে আসছে।

ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্য ও জার্মানি ইসরায়েলকে আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্ক করেছে পশ্চিম তীর দখলের বিষয়ে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও সোমবার এক ভাষণে বলেছেন, পশ্চিম তীর দখল হবে 'নৈতিক, আইনগত এবং রাজনৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য'। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প জানান, তিনি নেতানিয়াহুসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন ‘আমরা গাজা নিয়ে একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি এসেছি—এবং সম্ভবত শান্তির কাছেও।

এদিকে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভিডিও বার্তায় ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, তিনি সম্প্রতি ফ্রান্সের ঘোষিত একটি শান্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। ৮৯ বছর বয়সী আব্বাসকে যুক্তরাষ্ট্র নিউইয়র্ক সফরের অনুমতি দেয়নি, তাই তিনি ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তিনি কৃতজ্ঞতা জানান সেই সব দেশকে যারা সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে: কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, পর্তুগাল, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মোনাকো, সান মারিনো, আন্দোরা ও ডেনমার্ক। তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে নারাজ, যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে—এটি হামাসকে পুরস্কৃত করার সমান।

আব্বাস তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘হামাসের কোনো ভূমিকা থাকবে না শাসনব্যবস্থায়।’ তিনি আরও জানান, গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের পর সেখানে পূর্ণ কর্তৃত্ব ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকেই দিতে হবে এবং তা পশ্চিম তীরের সঙ্গে সংযুক্ত হতে হবে।