২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১৩

নিউইয়র্কের রাস্তায় আটকা পড়লেন ম্যাখোঁ— সরাসরি ফোন ট্রাম্পকে, অতঃপর...

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ সড়কে কথা বলছেন পুলিশের সঙ্গে  © সংগৃহীত

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে ভাষণ দেওয়ার পর গত সোমবার নিউইয়র্কের রাস্তায় প্রায় আধাঘণ্টা আটকে থাকতে হয়েছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাড়িবহরের জন্য পুলিশ রাস্তা বন্ধ করে দিলে এ ভোগান্তিতে পড়েন তিনি।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম BFMTV জানায়, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ শেষ করে নিজ দেশের কনসুলেটে যাওয়ার সময় ম্যাখোঁর গাড়ি ট্রাম্পের গাড়িবহরের কারণে পুলিশি ব্যারিকেডে আটকে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্রুটের একজন সাংবাদিক এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রাম্পের গাড়িবহর আসবে বলে পুলিশ ম্যাখোঁর গাড়ি আটকে দেয়। পরে তিনি গাড়ি থেকে নেমে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ম্যাখোঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার কনসুলেটে যাওয়া প্রয়োজন।’ এক পুলিশ কর্মকর্তা তখন বলেন, ‘আমি দুঃখিত প্রেসিডেন্ট, আমি খুবই দুঃখিত। সবকিছু থমকে আছে, এখনই একটি গাড়িবহর আসছে।’ জবাবে ম্যাখোঁ রাস্তার দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘আমি তো কোনো গাড়িবহর দেখছি না। আমাকে রাস্তা পার হতে দিন।’

একপর্যায়ে ফোন বের করে সরাসরি ট্রাম্পকে কল করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। হাসতে হাসতে বলেন, ‘কেমন আছেন? আন্দাজ করুন কী ঘটেছে? আমি রাস্তায় অপেক্ষা করছি। কারণ সবকিছু আপনার জন্য থেমে গেছে।’ 

ফরাসি সংবাদমাধ্যম Bryu জানায়, ম্যাখোঁ ওই পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে ও চলমান আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে ট্রাম্পকে ফোন করেন। তবে ভিডিওতে ট্রাম্পের কণ্ঠ শোনা যায়নি।

এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ কেবল পথচারীদের চলাচলের অনুমতি দেয়, যানবাহন চলাচল বন্ধই থাকে। ফলে প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁকে গাড়ি রেখে পায়ে হেঁটে যেতে হয়। ফোনে কথা বলতে বলতে তিনি হাঁটতে শুরু করেন এবং প্রায় ৩০ মিনিট নিউইয়র্কের রাস্তায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে হাঁটেন।

ব্রুটের সাংবাদিক জানান, হাঁটার সময় ম্যাখোঁ সাধারণ পথচারীদের সঙ্গে ছবি তোলেন। এমনকি এক পথচারী তার কপালে চুমুও খান।

এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন ম্যাখোঁ। তিনি বলেন, ‘আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের সম্ভাবনাকে রক্ষা করতে হবে এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকে শান্তি ও স্থিতিশীলতার মধ্যে পাশাপাশি বসবাসের সুযোগ করে দিতে হবে।’ জাতিসংঘ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করার সময়ই তিনি ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দেন।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান