২৮ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৪০

৩৬ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করায় বিপাকে ব্রিটিশ সরকার

  © সংগৃহীত

ইংরেজি ভাষা বিষয়ক পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগ ওঠায় ৩৬ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিলের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। ইতিমধ্যে এর অন্তর্ভুক্ত অন্তত ১ হাজার শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এরকম সিদ্ধান্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

২০১৪ সালে জালিয়াতি সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব তদন্ত শুরু হয়। তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ওইসব ভিসা বাতিলের। আর এ তদন্তে সহযোগিতা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এমনই জানিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

ন্যাশনাল অডিট অফিস এক বিবৃতিতে বলছে, যেসব ক্ষেত্রে প্রতারণার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে সেসব শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এদিকে উইন্ডরাশ স্ক্যান্ডাল সামনে আসায় নতুন করে জনগণ ও পার্লামেন্টারি নজরে এসেছে। উইন্ডরাশ স্ক্যান্ডাল হলো ২০১৮ সালে বৃটেনে রাজনৈতিক একটি স্ক্যান্ডাল। এতে ভুলভাবে অনেক মানুষকে আটক, তাদের বৈধ অধিকার প্রত্যাখ্যান, ফেরত পাঠানোর হুমকি দেয়া হয়েছে। কমপক্ষে ৮৩ জনকে ভুলভাবে বৃটেন থেকে বের করে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের জালিয়াতির বিষয়ে যেসব তথ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আছে এবং এ পর্যন্ত সে বিষয়ে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে তথ্য যাচাই করে দেখছে ন্যাশনাল অডিট অফিস।

শিক্ষার্থীদের চিটিং বা জালিয়াতির কেলেঙ্কারি আলোর মুখ দেখে বিবিসি প্যানোরমার ছদ্মবেশী তদন্তে। এক্ষেত্রে আবশ্যিক ভাষা বিষয়ক পরীক্ষা নেয়া হয় এমন দুটি সেন্টারের প্রতারণার বিষয়ে তদন্ত করা হয়।

তৎকালীন সরকার টেস্ট অব ইংলিশ ফর ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশন (টিওইআইসি) পরীক্ষা অনুমোদন করে। এতে রয়েছে একটি লিখিত, একটি মৌখিক ও বেশ কিছু এমসিকিউ প্রশ্ন। বিবিসির ওই রিপোর্টের পর তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তেরেসা মে বলেছিলেন, প্রাপ্ত তথ্য অত্যন্ত হতাশাজনক।

এ পরীক্ষা নিতো যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান এডুকেশনাল টেস্টিং সার্ভিস (ইটিএস)। ফল হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানকে ২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে নেয়া কমপক্ষে ৫৮০০০ পরীক্ষা চেক করার নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, কণ্ঠ সনাক্তকরণ সফটওয়ার বলছে, ওইসব পরীক্ষায় কমপক্ষে ৩০ হাজারটি ঘটনায় প্রক্সি টেস্ট নেয়া হয়েছে।