দিল্লির বিভিন্ন স্কুলে বোমাতঙ্ক, পরীক্ষা বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের পাঠানো হলো বাড়ি
ভারতের দিল্লির বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফের ফের বোমা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। শুধু সেপ্টেম্বর মাসেই এ নিয়ে তিনবার বোমাতঙ্কের ঘটনা ঘটেছে রাজধানীতে। এরমধ্যে দুই বার নিশানায় ছিল বিভিন্ন স্কুল। শনিবারও দ্বারকার দিল্লি পাবলিক স্কুল, কৃষ্ণ মডেল পাবলিক স্কুল এবং সর্বোদয় পাবলিক স্কুলে ছড়ায় বোমাতঙ্ক। নজফগড় এলাকার কিছু স্কুলেও হুমকি আসে।
সংবাদ প্রতিদিনের খবরে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলোয় সে সময় পরীক্ষা চলায় ভিড় ছিল শিশুদের। এর মধ্যেই বোমা হামলার হুমকি চাঞ্চল্য ছড়ায় আভিভাবক ও পড়ুয়াদের মধ্যে। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টায় নজফগড়ের একটি স্কুল থেকে দিল্লির ফায়ার সার্ভিসের কাছে ফোন আসে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। সেখান থেকে কর্মীদের সরিয়ে আনা হয়। পরীক্ষা থামিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। পুলিশের পক্ষ থেকে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
গত জানুয়ারি মাস থেকে বারবার বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে দিল্লি-এনসিআর এলাকায়। যদিও সব বোমাতঙ্কই পরবর্তীকালে ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। গত আট মাসে প্রায় ১৫০ স্কুল এবং কলেজে বোমাতঙ্ক ছড়ানো হয়। এর হাত থকে নিস্তার পায়নি বিভিন্ন হোটেল এবং দিল্লি হাই কোর্টও। এ মাসের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় ও মাওলানা আজাদ মেডিকেল কলেজ উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি আসে ইমেইলে।
আরও পড়ুন: টেসলা গাড়ির যে সমস্যার কারণে প্রাণ গেল চালকসহ দুই শিশুর
গত সপ্তাহে দিল্লি হাইকোর্টেও বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই আদালত চত্তরে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। স্থগিত রাখা হয় শুনানি। পাশাপাশি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিচারক, আইনজীবী, মামলাকারী ও কর্মীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরইমধ্যে দিল্লির স্কুলগুলিতে বারবার বোমা হামলার হুমকি আসায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে স্কুলগুলো নিরাপদ করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নতুন নিরাপত্তা বিধি তৈরি করা হয়েছে। বেশি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো, নিয়মিত বোমাতঙ্ক সামলানোর মহড়া, নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিয়মিত পরীক্ষা ও জরুরি অবস্থায় প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য যথাযথ সহায়তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।