১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:২২

দোহায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬

দোহায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬  © সংগৃহীত

কাতারের রাজধানী দোহায় ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের ছয়জন সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। তবে আলোচনার টেবিলে থাকা নেতারা এই হামলা থেকে রক্ষা পেয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

হামাস জানায়, দোহায় একটি আবাসিক ভবনে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলাকালে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তাদের ছয়জন সদস্য নিহত হয়।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ হামলাকে বৈধতা দিয়ে বলেছেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নেতারাই ওই বৈঠকে ছিলেন।

অন্যদিকে কাতার এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। দেশটি একে ‘কাপুরুষোচিত ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’ বলে আখ্যায়িত করেছে। কাতারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, হামলায় তাদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনীর একজন সদস্য নিহত এবং কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে নিহত হামাস সদস্যদের বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।

হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘটনাকে ‘অপ্রত্যাশিত’ হিসেবে অভিহিত করলেও বলেন, হামাসকে নির্মূল করা যুক্তিসঙ্গত লক্ষ্য।

উল্লেখ্য, কাতার যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র, যেখানে আমেরিকার সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি অবস্থিত। ২০১২ সাল থেকে হামাস কাতারে তাদের রাজনৈতিক কার্যালয় পরিচালনা করে আসছে। কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশর দীর্ঘদিন ধরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য মধ্যস্থতা করে যাচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্তত আটটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় এবং কাতারের উত্তরাঞ্চলীয় কাতারা জেলায় ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা গেছে।

কাতার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইসরায়েলের ওই হামলার সময় হামাসের কয়েকজন শীর্ষ নেতা আলোচনার জন্য ভবনটিতে অবস্থান করছিলেন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হামাসের সিনিয়র সদস্যদের লক্ষ্য করেই এ সুনির্দিষ্ট হামলা চালানো হয়েছে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, কাতারে চালানো এই হামলায় ১৫টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয় এবং কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ১০টি গোলা নিক্ষেপ করা হয়।