ফেসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করল নেপাল
ভুয়া আইডি, ঘৃণামূলক বক্তব্য এবং সাইবার অপরাধের অভিযোগে নিবন্ধনের শর্ত না মানায় ফেসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দিয়েছে নেপাল সরকার। সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয় বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
নেপালের সরকার জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যবহারকারীরা গুজব ছড়ানো, ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য প্রচার এবং সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। এসব কর্মকাণ্ড ঠেকাতে এসব প্ল্যাটফর্মকে সরকারিভাবে নিবন্ধনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও কিছু প্রতিষ্ঠান এই নির্দেশনা না মানায় তাদের অ্যাক্সেস বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে নেপালের প্রায় ৩ কোটি জনগণের মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। সরকার ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিগুলোকে দেশটির যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের জন্য বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সময় দিয়েছিল। নিবন্ধনের শর্ত হিসেবে স্থানীয় প্রতিনিধি নিয়োগ, অভিযোগ নিষ্পত্তিকারী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল।
নিবন্ধন না করা প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল নেপাল সরকার। বৃহস্পতিবার এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে নেপাল টেলিকমিউনিকেশনস অথরিটিকে (এনটিএ) এসব প্ল্যাটফর্মের অ্যাক্সেস বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ঠিক কোন কোন প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা বিজ্ঞপ্তিতে নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
তবে নেপালের যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, টিকটক, ভাইবার, উইটক, নিমবাজ এবং পপো লাইভ ইতোমধ্যেই নিবন্ধন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু ফেসবুকসহ কয়েকটি বড় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এখনো নিবন্ধন করেনি।
এ বিষয়ে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইনস্টাগ্রামের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা কোনো মন্তব্য করেনি। এ প্রসঙ্গে নেপালের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং বলেন, “আমরা বারবার তাদের অনুরোধ করেছি, যথেষ্ট সময় দিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের অনুরোধের প্রতি সাড়া দেয়নি। যে কারণে তাদের সেবা নেপালে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
সূত্র: রয়টার্স