শিক্ষার্থী সংকটে গ্রিসে ৭৬৬টি স্কুল বন্ধ
জন্মহার হ্রাসজনিত শিক্ষার্থী সংকটে গ্রিসে নতুন শিক্ষাবর্ষে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ৭৬৬টি স্কুল। দেশটির মোট স্কুলের পাঁচ শতাংশেরও বেশি এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কেবল প্রত্যন্ত গ্রাম বা দ্বীপেই নয়, রাজধানী এথেন্সের অ্যাটিকা অঞ্চলের কিছু অংশেও অবস্থিত। কর্মকর্তারা একে জনসংখ্যাগত বিপর্যয়ের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন।
গ্রিসের শিক্ষা ও ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী সোফিয়া জাকারাকি বলেন, “দেশে জন্মহার ক্রমশ কমে যাওয়ায় স্কুলের ক্লাসরুমগুলো ফাঁকা হয়ে পড়ছে। দুর্ভাগ্যবশত, এই প্রবণতা কয়েক দশক ধরে চলমান।”
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত সাত বছরে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজারের বেশি কমেছে, যা ২০১৮ সালের তুলনায় প্রায় ১৯ শতাংশ হ্রাস। এথেন্সের হারোকোপিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক জনসংখ্যাবিদ্যার অধ্যাপক আলেকজান্দ্রা ত্রাগাকি সতর্ক করে বলেন, “এ পতন খুব দ্রুত হচ্ছে এবং গ্রিসে এটি অত্যন্ত তীব্র। প্রজনন বয়সী মানুষের সংখ্যাও আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।”
চলতি বছর গ্রিসের ১৪ হাজার ৮৫৭টি স্কুলের মধ্যে যেসব স্কুলে ন্যূনতম ১৫ জন শিক্ষার্থীও নেই, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। যদিও আগামী তিন বছরের মধ্যে শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়লে কিছু স্কুল পুনরায় চালু হতে পারে, তবে বেশির ভাগ স্কুল আর খোলার সম্ভাবনা নেই।
তবে তুরস্ক সীমান্তবর্তী দ্বীপ ও প্রত্যন্ত এলাকায় বিশেষ ছাড় রাখা হয়েছে। সেখানকার অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও স্কুল চালু রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ডোডেকানিস দ্বীপপুঞ্জের ছোট দ্বীপ পসেরিমোসে ২০০৯ সালের পর এ বছর প্রথমবারের মতো স্কুল খোলা হচ্ছে। এখানে প্রাথমিক শ্রেণির দুই শিশু এবং কিন্ডারগার্টেনের তিন শিশু পড়াশোনা করবে।
মন্ত্রী সোফিয়া জাকারাকি বলেন, “আমরা আইনসম্মত ন্যূনতম শিক্ষার্থীর চেয়ে কম শিক্ষার্থী নিয়েও কিছু স্কুল চালু রেখেছি। এটি ব্যয়বহুল সিদ্ধান্ত হলেও এসব অঞ্চলের জন্য একে আমরা প্রয়োজনীয় মনে করি।”
সংবাদসূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস