৩০ আগস্ট ২০২৫, ১০:৫২

৬ লক্ষ চীনা শিক্ষার্থীর ভিসা দেবার ব্যাখ্যা দিলো হোয়াইট হাউজ

চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা দেবার ব্যাখ্য দিলো হোয়াইট হাউজ  © সংগৃহীত

আমেরিকাতে ৬ লক্ষ চীনা শিক্ষার্থীর ভিসা দেওয়ার ব্যাখ্যা দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। গত ২৬ আগস্ট চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা দেবার ব্যাপারে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে  মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘আমি এ ব্যাপারে অনেক গল্প শুনেছি। আমরা নাকি ড্রাগনভূমির শিক্ষার্থীদের প্রবেশ করতে দিচ্ছি না। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে সেটা হচ্ছে না। আমরা ওদের অনুমতি দেব। মোট ছয় লক্ষ শিক্ষার্থী ভিসা পাবেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে আমরা বেইজিংয়ের সাথে মানিয়ে নিতে পারব।“

মন্ত্রিসভার বৈঠকে ট্রাম্পের ওই মন্তব্যের পরেই যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে শোরগোল পড়ে যায় । মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কড়া সমালোচনায় করেন তাঁরই দল রিপাবলিকান পার্টির নেতানেত্রীরা। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন অতি ডানপন্থী লরা লুমার। সমাজমাধ্যমে করা পোস্টে তিনি লেখেন, ‘‘মনে রাখতে হবে চীনা শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই ওখানকার কমিউনিস্ট পার্টির গুপ্তচর। ওদের এখানে ঢুকতে দিলে জাতীয় নিরাপত্তার নিরিখে সেটা হবে মারাত্মক বিপজ্জনক।“

ব্যাপক সমালোচনার পর হোয়াইট হাউজ প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। মার্কিন গণমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ়’ এর করা প্রশ্নের জবাবে হোয়াইট হাউসের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আমাদের প্রেসিডেন্ট চীনা শিক্ষার্থীদের ‘স্টুডেন্ট ভিসা’বৃদ্ধির প্রস্তাব দিচ্ছেন না। গত দু বছরে যে ছয় লক্ষ শিক্ষার্থী এখানে এসেছেন তাঁদের ভিসা পুনর্নবীকরণের কথা বলেছেন মাত্র। এটা বিদ্যমান প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা।’’

গত বছরের  প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ‘আমেরিকা ফার্স্ট নীতির কথা বলে প্রচারে ঝড় তোলেন ট্রাম্প। এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে অনড় রয়েছেন তিনি। এই আবহে চীনা পড়ুয়াদের ভিসার প্রশ্নে ট্রাম্প ‘দ্বিচারিতা’ করছেন বলে সুর চড়িয়েছেন লুমার। তাঁর যুক্তি, ‘‘বেজিঙের শিক্ষার্থীদের ঢালাও ভিসা বিলির সিদ্ধান্ত হল ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতির পরিপন্থী। এটা কখনওই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমরা আরও মুসলিম এবং চীনাদের জায়গা দেওয়ার জন্য আপনাকে ভোটে জেতাইনি। দয়া করে যুক্তরাষ্ট্রকে মান্দারিনভাষীদের দেশে পরিণত করবেন না। যাঁরা আমেরিকাকে মহান করতে চান (মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন ) তাঁরা অভিবাসী চান না।

উল্লেখ্য,আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রোগ্রামের অধীনে আমেরিকায় ভ্রমণকারীদের ভিসার মেয়াদ সীমিত করার নীতি নিয়েছে আমেরিকা। 

সংবাদসূত্র: আনন্দবাজার