৩০ আগস্ট ২০২৫, ০৯:৫৪

জাতিসংঘের বৈঠকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে যোগদানে আমেরিকার বাধা

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস  © সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে  জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানে বাধা দিয়েছে আমেরিকা। আগামী মাসে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদান করতে পারবেন না তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং ৮০ জন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার ভিসা বাতিল করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও তাদের বিরুদ্ধে শান্তি প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার এবং "একটি অনুমানিক ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের একতরফা স্বীকৃতি" চাওয়ার অভিযোগ করেছেন।ইসরায়েল কর্তৃকপক্ষ  এই সিদ্ধান্তটির স্বাগত জানিয়েছে। এই সিদ্ধান্তটিকে অস্বাভাবিক হিসেবে দেখা হচ্ছে কেননা  জাতিসংঘ সদর দপ্তরে যেতে ইচ্ছুক সকল দেশের কর্মকর্তাদের ভ্রমণের সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে। ট্রাম্প প্রশাসনের বিরোধিতা সত্ত্বেও ফ্রান্স এই অধিবেশনে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিচ্ছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মনসুর এর আগে বলেছিলেন যে, প্রতিনিধিদলের প্রধান হিসেবে আব্বাস নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেবেন। এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেছিলেন যে, ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থা (পিএলও) এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) সদস্যদের ভিসা প্রত্যাখ্যান এবং বাতিল করার সিদ্ধান্তের ফলে আব্বাস এবং প্রায় ৮০ জন ফিলিস্তিনির সাধারণ পরিষদে যোগদান অনিশ্চিত ।

রুবিও বলেন, নিউইয়র্কে জাতিসংঘ মিশনে ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিরা জাতিসংঘ সদর দপ্তর চুক্তি অনুসারে সভায় যোগ দিতে পারবেন - এই নথিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জাতিসংঘের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে। তবে, এটি স্পষ্ট নয় যে, ভিসা প্রত্যাখ্যান বা বাতিল করার মার্কিন পদক্ষেপটি সেই নথির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা, যেখানে বলা হয়েছে যে, নিউইয়র্কে বিদেশী কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাধা দেবে না, তাদের নিজ নিজ সরকার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে "সম্পর্ক নির্বিশেষে"।

আব্বাসের কার্যালয় জানিয়েছে যে ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্তে তারা বিস্মিত, "আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সদর দপ্তর চুক্তির স্পষ্ট বিরোধিতা করে, বিশেষ করে যেহেতু ফিলিস্তিন রাষ্ট্র জাতিসংঘের একটি পর্যবেক্ষক সদস্য"। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এই পদক্ষেপ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

সংবাদসূত্র: বিবিসি