০৬ আগস্ট ২০২৫, ১৮:৫৪

বিহারে মেয়ের সামনে জামাইকে গুলি করে হত্যা করলেন বাবা

রাহুল কুমার-তন্নু প্রিয়া ঝাঁ  © হিন্দুস্থান টাইমস

ভারতের বিহারের দারভাঙ্গায় মেডিকেল কলেজে মেয়ের সামনে জামাইকে গুলি করে হত্যা করলেন এক বাবা। পরিবারের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে নার্সিং পড়ুয়া তন্নু প্রিয়া ঝাঁ বিয়ে করেন ভিনজাতের সহপাঠী রাহুল নামের এক যুবককে। বুধবার (৬ আগস্ট) আনন্দ বাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ভারতীয় গণমাধ্যমটি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, নার্সিং কলেজে পড়ুয়া দুই শিক্ষার্থী প্রেম করে বিয়ে করেছেন। তবে ছেলে ভিনজাতের হওয়ায় ক্ষিপ্ত ছিলেন মেয়ের বাবা প্রেমশঙ্কর ঝাঁ এবং তাঁর পরিবার। তিনি মঙ্গলবার মেডিকেল কলেজে উপস্থিত হয়ে মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে ডেকে পাঠায়। এরপর কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মেয়ের সামনেই জামাইকে দুই রাউন্ড গুলি করেন শ্বশুর। ঘটনাস্থলে মারা যায় রাহুল।

পুলিশ আরও জানায়, গুলির শব্দ পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় রাহুলের বন্ধুরা ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। পরে তারা প্রেমশঙ্করকে ধরে মারধর করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাহুলের মরদেহ উদ্ধার করেন এবং প্রেমশঙ্করকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাটনার একটি হাসপাতালে পাঠিয়েছে চিকিৎসার জন্য।  

তরুণী বলেন ‘আমার বাবা বন্দুক নিয়ে কলেজে এসেছিল। হাত মেলানোর পর স্বামীর বুকে গুলি করেছে বাবা। আমার চোখের সামনেই ঘটল। আমার কোলে মাথা দিয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল রাহুল।’  তন্নু বলেন, স্বামীকে হত্যার জন্য বাবা দায়ী হলেও বাপের বাড়ির সকলে মিলে ওই ষড়যন্ত্র করেছেন। এর আগেও তাঁদের নানা ভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। তন্নু আরও বলেন, ‘আমরা আদালতকে জানিয়ে ছিলাম আমার ভাইয়েরা স্বামীর ক্ষতির চেষ্টা করছে।’

আরও পড়ুন: ইরানে ইসরায়েলি গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িতকে মৃত্যুদণ্ড

রাহুলের হত্যার বিচারের দাবিতে হাসপাতালে আন্দোলন করছে নার্সিং ও ডাক্তারি পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। পুলিশ সুপার জানান, এই হত্যাকাণ্ডে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং পুলিশ উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।