বাংলাদেশের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ২০ শতাংশ শুল্ক, কার্যকর কবে?
বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক হার ৩৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ কমিয়ে ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে নতুন এ হার ঘোষণা করা হয়। খবর-রয়টার্সের।
হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, অন্য দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ, আফগানিস্তানের ওপর ১৫ শতাংশ, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ, ব্রাজিলের ওপর ১০ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মালয়েশিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, মিয়ানমারের ওপর ৪০ শতাংশ, ফিলিপাইনের ওপর ১৯ শতাংশ, শ্রীলঙ্কার ওপর ২০ শতাংশ ও ভিয়েতনামের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।
এছাড়া আফগানিস্তানের ওপর ১৫ শতাংশ, আলজেরিয়ার ওপর ৩০ শতাংশ, বলিভিয়ার ওপর ১৫ শতাংশ, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার ওপর ৩০ শতাংশ, বতসোয়ানার ওপর ১৫ শতাংশ, ব্রাজিলের ওপর ১০ শতাংশ, ব্রুনাইয়ের ওপর ২৫ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, কম্বোডিয়ার ওপর ১৯ শতাংশ, ক্যামেরুনের ওপর ১৫ শতাংশ, চাদের ওপর ১৫ শতাংশ, কোস্টারিকার ওপর ১৫ শতাংশ, আইভরি কোস্টের ওপর ১৫ শতাংশ, কঙ্গোর ওপর ১৫ শতাংশ, ইকুয়েডরের ওপর ১৫ শতাংশ, গিনির ওপর ১৫ শতাংশ এবং ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ এপ্রিল বাংলাদেশসহ ৬০টি দেশের জন্য পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। তবে ৯ এপ্রিল ট্রাম্প প্রশাসন সবার জন্য ১০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক রেখে সব দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক আরোপ তিন মাসের জন্য স্থগিত করে। স্থগিতাদেশের সময় শেষ হওয়ার আগেই ৮ জুলাই ট্রাম্প নতুন করে ঘোষণা দিয়ে জানান, বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্কহার হবে ৩৫ শতাংশ। দেশভিত্তিক পাল্টা শুল্ক কার্যকরের পর সবার জন্য বাড়তি ১০ শতাংশ তার সঙ্গে সমন্বয় হবে।
তবে শুল্ক নিয়ে আলোচনার জন্য বিভিন্ন দেশকে আলোচনার সুযোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্রে। শুল্কের হার কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির জন্য ৩১ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন দেশকে সময় দেওয়া হয়। সেই সময়সীমা শেষে শুক্রবার (১ আগস্ট) থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা। সে হিসাবে আজ থেকে বাংলাদেশকে বর্তমানের গড় ১৫ শতাংশ ও নতুন পাল্টা শুল্ক ২০ শতাংশ, অর্থাৎ মোট ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক নিয়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের তৃতীয় দফার আলোচনা শুরু হয় মঙ্গলবার (২৯ জুলাই)। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি (ইউএসটিআর) দপ্তরের সঙ্গে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী এ আলোচনার শেষদিন ছিল ৩১ জুলাই।