০১ আগস্ট ২০২৫, ০৮:০৭

ট্রাম্পের হুমকিতে রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করল ভারত

যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের পতাকা  © ফাইল ফটো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি তেল পরিশোধন কোম্পানি। রুশ তেলের ওপর ছাড় কমে যাওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের হুমকির কারণে এসব কোম্পানি গত সপ্তাহে কোনো তেল আমদানির চুক্তি করেনি।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ভারতের তেল বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো রাশিয়া থেকে তেল না কিনে বিকল্প উৎসের খোঁজে স্পট মার্কেটের দিকে ঝুঁকছে।

ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক এবং বর্তমানে সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চারটি প্রধান তেল পরিশোধন কোম্পানি—ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন (আইওসি), হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (এইচপিসিএল), ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসিএল) এবং ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোকেমিক্যালস (এমআরপিএল)—গত এক সপ্তাহ বা তারও বেশি সময় ধরে রাশিয়ান তেলের কোনো নতুন ক্রয়াদেশ দেয়নি।

তেলের আমদানি পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারটি সূত্র রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছে, রাশিয়ার কাছ থেকে এসব কোম্পানি সাধারণত সরবরাহের ভিত্তিতে তেল কিনলেও বর্তমানে তারা বিকল্প উৎসে নজর দিচ্ছে। বিশেষ করে আবু ধাবির মুরবান ক্রুড ও পশ্চিম আফ্রিকার বাজার থেকে তেল কেনার পরিকল্পনা করছে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলো।

রয়টার্স আরও জানিয়েছে, এসব কোম্পানির কেউ এবং ভারতের কেন্দ্রীয় জ্বালানি মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্য চাইলেও কোনো সাড়া দেয়নি।

অন্যদিকে বেসরকারি খাতের রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও নায়ারা এনার্জি এখনও রুশ তেলের বড় ক্রেতা হিসেবে রয়ে গেছে। তবে ভারতের দৈনিক ৫২ লাখ ব্যারেল তেলের চাহিদার ৬০ শতাংশের বেশি সরবরাহ আসে এই রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর মাধ্যমেই।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন যে, ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে রাশিয়া শান্তিচুক্তিতে না এলে রুশ তেল আমদানিকারক দেশগুলোর ওপর শতভাগ শুল্ক আরোপ করা হবে। এরপর গতকাল (৩০ জুলাই) ট্রাম্প ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পাশাপাশি রুশ তেল কেনার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জরিমানা আরোপের ঘোষণা দেন।