ইসরায়েলি হামলা ও অনাহারে গাজায় একদিনেই নিহত ৯৪, বেড়েছে শিশু মৃত্যু
দখলদার ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা ও অবরোধের কারণে দুর্ভিক্ষে জর্জরিত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ৯৪ জন। এর মধ্যে ৮০ জন নিহত হয়েছেন সরাসরি বোমা হামলায়, বাকি ১৪ জন মারা গেছেন খাদ্যের অভাবে। যাদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এসব তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
গাজা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে অপুষ্টিজনিত কারণে মারা গেছেন ১৪৭ জন ফিলিস্তিনি, যাদের মধ্যে ৮৮ জনই শিশু। অঞ্চলটিতে মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। মার্চ থেকে পূর্ণ অবরোধের পর মে মাসে আংশিকভাবে তা শিথিল করা হলেও এখনও পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবেশ করতে পারছে না।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ প্রধান ফিলিপ ল্যাজারিনি বলেন, ‘মানুষজন যেন না বেঁচে আছে, না মরেছে – যেন হাঁটতে থাকা লাশ।’ তিনি জাতিসংঘের এক সম্মেলনে বলেন, শুধু নিন্দা জানানো নয়, বরং যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করে অবিলম্বে মানবিক সহায়তা পৌঁছানো জরুরি।
গাজায় শিশু খাদ্যের সংকট ভয়াবহ আকার নিয়েছে। আল-শিফা হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অপুষ্টিজনিত কারণে এক শিশু মারা গেছে, কারণ তার জন্য প্রয়োজনীয় দুধ পাওয়া যায়নি। গাজা সরকারের গণমাধ্যম দপ্তরের তথ্য মতে, শিশু খাদ্যের ঘাটতির কারণে প্রায় ৪০ হাজার শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।
অন্যদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, কিছু অংশে তারা হামলা স্থগিত রাখবে এবং নতুন করিডোর খুলে ত্রাণ প্রবেশ বাড়ানো হবে। জাতিসংঘ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও বলছে, এটি যথেষ্ট নয়।
এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় সত্যিকার অর্থেই দুর্ভিক্ষ চলছে এবং এর জন্য ইসরায়েল বড় ধরনের দায় এড়াতে পারে না। গাজায় খাদ্য পৌঁছাতে “বাউন্ডারিবিহীন খাদ্য কেন্দ্র” স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।