১৮ জুলাই ২০২৫, ১১:২৮

শিরা দুর্বলতায় ভুগছেন ট্রাম্প

ট্রাম্প  © সংগৃহীত

ট্রাম্পের ‘স্থায়ী শিরা দুর্বলতা’ ধরা পড়েছে, হোয়াইট হাউজের নিশ্চিতকরণে নতুন স্বাস্থ্য আলোচনার জন্ম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শরীরে ধরা পড়েছে একটি শিরা-জনিত সমস্যা—ক্রনিক ভেনাস ইনসাফিশিয়েন্সি, বাংলায় যাকে বলা হয় ‘স্থায়ী শিরা দুর্বলতা’। সম্প্রতি তার পায়ে ফোলাভাব ও হাতে রক্তজমাট ক্ষতের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্বাস্থ্যগত তথ্য জানানো হয়।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পায়ে ফোলা দেখা দিলে তার ধমনী-শিরা বিষয়ক বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, ট্রাম্পের পায়ের শিরাগুলো ঠিকভাবে রক্ত ফিরিয়ে আনতে পারছে না, ফলে নিচের অংশে রক্ত জমে গিয়ে পা ফুলে যাচ্ছে।

৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্পকে গত সপ্তাহে নিউ জার্সিতে একটি ফুটবল ম্যাচে হাঁটতে দেখা যায় ফোলা পা নিয়ে। একই সময়ে বাহরাইনের প্রধানমন্ত্রী সালমান বিন হামাদ আল খলিফার সঙ্গে হোয়াইট হাউজে সাক্ষাৎকালে তার ডান হাতে আঘাতের দাগও স্পষ্টভাবে দেখা গেছে। ফেব্রুয়ারিতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে বৈঠকেও অনুরূপ ক্ষত দেখা যায় তার হাতে।

এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট নিয়মিত অ্যাসপিরিন সেবন করেন, যা রক্ত পাতলা করে এবং আঘাতে ক্ষত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। ঘন ঘন ‘হ্যান্ডশেক’-এর ফলে হাতে টিস্যু ক্ষতি হয়েছে বলেও ধারণা চিকিৎসকদের।

ওয়েক ফরেস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাসকুলার সার্জনের মতে, বয়স বাড়ার সঙ্গে শিরা দুর্বল হওয়া স্বাভাবিক। আর ট্রাম্পের মতো নিয়মিত অ্যাসপিরিন সেবনকারীদের শরীরে আঘাত সহজে ক্ষতের সৃষ্টি করে।

হোয়াইট হাউজের চিকিৎসক শন বারবাবেলা নিশ্চিত করেছেন, প্রেসিডেন্টের হৃদযন্ত্র বা কিডনির কোনো গুরুতর জটিলতা ধরা পড়েনি। তার মতে, এটি বয়স-সুলভ এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিরীহ একটি সমস্যা।

চিকিৎসকদের মতে, নিয়মিত কমপ্রেশন স্টকিংস ব্যবহার, ঘুমের সময় পা উঁচু রাখা, ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং পায়ের যত্নের মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

ট্রাম্পের সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ আছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে চলমান জল্পনা কিছুটা প্রশমিত হলেও, দেশের সবচেয়ে প্রবীণ প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনার পারদ যে আরও চড়বে, তা বলাই যায়।