২৭ জুন ২০২৫, ১০:৩৬

আত্মসমর্পণ শব্দটি আমাদের শব্দভান্ডারে নেই : খামেনি

আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি  © সংগৃহীত

ট্রাম্প ইরানকে ‘আত্মসমর্পণের’ আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের মুখের তুলনায় তা খুব বড় মন্তব্য ছিল। এমন মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।

খামেনি আরও বলেন, ইরানের মতো একটি মহান দেশ ও জাতির জন্য আত্মসমর্পণের কথা বলাই অপমানজনক। ইরানি জনগণ তাদের ঐক্য প্রদর্শন করেছে। এই বার্তা দিয়েছে যে আমাদের জনগণের কণ্ঠস্বর এক।

তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প দুর্ঘটনাক্রমে একটা সত্য প্রকাশ করেছেন যে আমেরিকানরা শুরু থেকেই ইরানের বিরোধিতা করে আসছে।

খামেনি বলেন, ট্রাম্প তাদের পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংস করে দেওয়ার যে দাবি করেছেন, সেটি সত্য নয়। আমাদের পারমাণবিক অবকাঠামোর বিরুদ্ধে আগ্রাসন চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কিছুই অর্জন করতে পারেনি। ইরানিরা ঐক্যবদ্ধ। সবাই একত্র ছিল। কাতারের আল উদেইদ মার্কিন ঘাঁটিতে যে হামলা হয়েছে, সেটিকে তারা উড়িয়ে দিয়েছে সত্যকে আড়াল করার জন্য। সময়ই শত্রুদের ক্ষয়ক্ষতি প্রকাশ করবে।

ইরান কখনো আত্মসমর্পণ করবে না জানিয়ে খামেনি বলেন, ট্রাম্প বলেছেন, ইরানকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। ট্রাম্প সত্য প্রকাশ করেছেন। ইরান কেবল আত্মসমর্পণ করলেই যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট হবে। কিন্তু আত্মসমর্পণ কখনো হবে না। আমরা শক্তিশালী জাতি। ইরান মার্কিনিদের মুখে চপেটাঘাত করেছে।

প্রায় এক সপ্তাহ পর বৃহস্পতিবার ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত একটি ভিডিওবার্তায় প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে আসেন ৮৬ বছর বয়সী আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। ক্লান্ত ও কণ্ঠস্বর ভারী হলেও তার বক্তব্য ছিল আগ্রাসী।

খামেনি বলেন, ‘আমরা কাতারে অবস্থিত একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আমেরিকার মুখে চপেটাঘাত দিয়েছি। যদি আরও উসকানি দেওয়া হয়, তবে আমরা পাল্টা প্রতিশোধ নিতে দ্বিধা করব না।’

তবে তিনি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো সম্পর্কে সরাসরি কিছু বলেননি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘পারমাণবিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে’ মন্তব্যকেও খামেনি গুরুত্বহীন ও অকার্যকর বলে উড়িয়ে দেন।