২৪ জুন ২০২৫, ১৫:২১

যুদ্ধবিরতিতে গাজার মুক্তি চাইল ইসরায়েলি যেসব পরিবার

ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তির দাবিতে তাদের আত্মীয়স্বজন  © সংগৃহীত

গাজায় হামাসের হাতে থাকা ইসরায়েলি বন্দিদের আত্মীয়স্বজনরা তাদের সরকারকে নতুন এক আকুতি জানিয়েছেন। তারা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যুদ্ধ বন্ধ করা এবং তাদের প্রিয়জনদের নিজ ভূমিতে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।

ইসরায়েলের জিম্মি ও নিখোঁজ পরিবার ফোরাম এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে অবশ্যই গাজাকে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। আমরা সরকারকে জরুরিভাবে আলোচনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাই।

তারা আরও বলেছে, সব জিম্মির প্রত্যাবর্তন যুদ্ধের সমাপ্তির দিকে পরিচালিত করবে। যদি সরকার ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি অর্জন করতে পারে, তবে তারা গাজায় যুদ্ধও শেষ করতে পারে।

সংগঠনটি বলছে, ‘ইরানে একটি দুর্দান্ত অভিযান শেষ করেছে ইসরায়েল। কিন্তু ইরানি অক্ষের ওপর একটি সিদ্ধান্তমূলক, বিধ্বংসী আঘাতের পর ইসরায়েল আবার গাজার ভূমিতে ডুবে যাবে, তা কল্পনাতীত। এটি সব যুক্তি এবং প্রতিটি ইসরায়েলি স্বার্থের পরিপন্থী।

আরও পড়ুন : যুদ্ধবিরতির পর ইরানকে ইসরায়েলের জরুরি বার্তা

জিম্মি সদস্যদের আত্মীয়রা বলেন, ‘সব জিম্মিকে ফিরিয়ে আনার জন্য এ সুযোগ কাজে না লাগিয়ে ইরানে অভিযান শেষ করা হবে একটি গুরুতর কূটনৈতিক ব্যর্থতা। সুযোগের একটি ঐতিহাসিক জানালা খোলা রয়েছে। তাই ইসরায়েলি সরকারের কর্তব্য হলো, উভয় ক্ষেত্রে এটিকে কাজে লাগানো।’

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এএফপির সর্বশেষ হিসাব মতে, এই হামলায় এক হাজার ১৯৪ জন নিহত হন। একইসঙ্গে ২৫০ জনকে জিম্মি করে হামাস। গত নভেম্বরে বন্দি বিনিময়ের সময় মুক্তি পান ১০০ জিম্মি। বাকি জিম্মিদের মধ্যে ১১৬ জন এখনো গাজায় আছেন। ইসরায়েলের দাবি, অন্তত ৪০ জিম্মি নিহত হয়েছেন।

এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সেদিনই গাজার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ও নির্বিচার বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরে স্থলবাহিনীও এতে যোগ দেয়। এই অভিযানে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনের গাজায় অন্তত ৫৫ হাজারের মতো মানুষ নিহত হয়, আহতের সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজারেরও বেশি। হতাহতের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।