জাতিসংঘে ইসরায়েলকে তুলাধোনা করল ৪ দেশ
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৫৯তম অধিবেশন বসেছে শুক্রবার। সেখানে যোগ দিয়েছিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। এ সময় ইরানের জনগণের ওপর অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে ইসরায়েলকে তুলাধোনা করেছে পাকিস্তান, চীন, রাশিয়া ও আলজেরিয়া। ইরানের ওপর ইসরায়েলের সামরিক হামলার কঠোর সমালোচনা করে তারা সমালোচনা করে।
এ সময় চার দেশ সতর্ক করে দিয়েছে যে এটি আঞ্চলিক শান্তির জন্য হুমকি এবং পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপনের ঝুঁকি তৈরি করছে। এ জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদুলু এজেন্সি।
দেশগুলো সতর্ক করে বলেছে, এই হামলা পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে এবং পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার যে নজির তৈরি করা হয়েছে, তা ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক। মূলত এই চারটি দেশের অনুরোধেই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, ‘ইরানের শান্তিপূর্ণ বেসামরিক পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে। এতে ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এমন স্থাপনায় হামলা চালানো যায় না।’
নেবেনজিয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনকে উৎসাহিত করার জন্য পশ্চিমাদের সমালোচনা করে বলেন, ব্রিটিশ, ফরাসি ও জার্মান কূটনীতিকদের বক্তব্য মারাত্মক অস্ত্রের মতোই বিপজ্জনক।’
চীনের রাষ্ট্রদূত ফু কং বলেন, ‘ইসরায়েলের এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। এটি ইরানের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকেও ক্ষুণ্ন করছে এবং গোটা অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিপন্ন করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আক্রমণগুলো একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করে এবং এর বিপর্যয়কর পরিণতি হতে পারে।’
পাকিস্তান "ইসরায়েলের অযৌক্তিক ও অবৈধ আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। রাষ্ট্রদূত আসিম ইফতিখার আহমেদ বলেন, ইসলামাবাদ ইসরায়েলের দ্বারা পরিচালিত স্পষ্ট আক্রমণ ও সামরিক হামলার নিন্দা করে, যা সমগ্র অঞ্চল ও তার বাইরের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুতর বিপদ এবং গুরুতর হুমকি।’
আলজেরিয়ার জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত আমার বেন্ডজামা ইসরায়েলি হামলাকে ‘একটি অপ্রীতিকর ও অযৌক্তিক কাজ’ এবং ‘জাতিসংঘের সনদের একটি স্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।