ক্ষমা চাইলেন থাই প্রধানমন্ত্রী
ফোনালাপ ফাঁস হওয়াকে কেন্দ্র করে জনরোষের মুখে পড়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। এ ফোনালাপের জেরে তার সরকার পতনের মুখে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষমা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন।
জানা গেছে, ফাঁস হওয়া ফোনালাপে থাই প্রধানমন্ত্রী কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা ও পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হুন সেনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে কথা বলেন। তবে কথা বলার এক পর্যায়ে থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সেনা কমান্ডারকে নিজের ‘প্রতিপক্ষ’ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পেতংতার্ন বলেন, ‘কম্বোডিয়ার এক নেতার সঙ্গে আমার কথোপকথনের অডিও ফাঁস জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এর জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’
থাই প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ফোনালাপে তার ভাষা ছিল কূটনৈতিক কৌশলের অংশ। তবে সমালোচকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর কথায় দেশের মর্যাদা এবং রাজনৈতিক দিক থেকে প্রভাবশালী সেনাবাহিনীর মানহানি হয়েছে।
এ দিকে, ফোনালাপ ফাঁসের জেরে বুধবার (১৮ জুন) পেতংতার্নের প্রধান জোটসঙ্গী রক্ষণশীল ভুমজাইথাই পার্টি জোট ত্যাগ করে। পেতংতার্নের পদত্যাগ অথবা নির্বাচন ঘোষণার দাবিও জোরালো হচ্ছে। এতে থাইল্যান্ড নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতায় পড়েছে।