ইসরায়েলিদের যুদ্ধ নিয়ে আশঙ্কা, ট্রাম্পকে ‘কাজ শেষ করার’ আহ্বান
মধ্যপ্রাচ্যে দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা চলছেই। ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় গত ১৩ জুন ইসরায়েলের হামলার মাধ্যমে শুরু হওয়া এই সংঘাত মধ্যপ্রাচ্যে চরম উত্তেজনা তৈরি করেছে। আঞ্চলিক এই সংঘাতে বিশ্বের পরাশক্তি দেশগুলোও জড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তবে ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে ইসরায়েলের এই মুহূর্তে কী অবস্থা? দেশটিতে বর্তমানে দুটি জিনিস লক্ষ করা গেছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। ইসরায়েল ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে নিষিদ্ধ হওয়ায় আল জাজিরা জর্ডান থেকে এই প্রতিবেদন করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী, সামরিক গোয়েন্দা, দেশটি মন্ত্রীরা—সবাই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের ছবি আঁকতে আগ্রহী। কারণ তাদের আছে চৌকস বিমান বাহিনী, যারা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে সক্ষম এবং ইরানের আকাশসীমার ওপর দিয়ে প্রায় অবাধে উড়তে সক্ষম।
অন্যদিকে এই যুদ্ধে ইসরায়েলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নিয়েও গুরুতর বিতর্ক রয়েছে, সেটা হলো— যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হস্তক্ষেপ না করে এবং ইরানে আঘাত না করে, তবে এ যুদ্ধ হতে পারে দীর্ঘ।
আরও পড়ুন : ইসরায়েলে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে ইরান
এর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন নেতানিয়াহু। এই সংঘাত কত দিন স্থায়ী হবে, জানতে চাইলে তিনি তা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে সপ্তাহ, এমনকি মাসও লাগতে পারে বলে জানান।
কারণ এই ধরনের দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত খুবই ব্যয়বহুল হবে, জড়িত সবার পক্ষে সহ্য করা খুবই কঠিন।
সম্প্রতি তেল আবিবের বিভিন্ন সড়কে বিলবোর্ডের দেখা মিলেছে, যেখানে যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে লেখা : ‘মি. প্রেসিডেন্ট, ফিনিশ দ্য জব’।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলা চালাবেন কি না—সেই সিদ্ধান্ত “আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে” নেবেন। তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই “দুই সপ্তাহ” টাইমলাইনটি ট্রাম্পের খুব পরিচিত কৌশল, যেটা তিনি আগেও বহুবার ব্যবহার করেছেন—তবে বাস্তবায়ন করেননি।