অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’ ছিল অস্তিত্ব রক্ষার শেষ উপায়: ইসরায়েল
ইরানের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বক্তব্য দিয়েছেন ইসরায়েলের উপ অ্যাটর্নি জেনারেল ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ড. গিলাদ নোয়াম। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল অস্তিত্বের হুমকির মুখে পড়েছিল, যার বাস্তবায়নে ইরান সক্রিয়ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ অবস্থায় ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ ছিল আমাদের শেষ অবলম্বন।’
তিনি জানান, ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি থেকে উদ্ভূত তাৎক্ষণিক ও মারাত্মক হুমকির প্রেক্ষিতে এই সামরিক অভিযান চালানো হয়। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ ইরান-ইসরায়েল সশস্ত্র সংঘাতের অংশ হিসেবে শুরু হয়।
ড. নোয়াম দাবি করেন, ‘এই অভিযান আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি নয় বরং বৈধতার গণ্ডির মধ্যেই পরিচালিত হয়েছে।’
ইসরায়েল প্রথমে কূটনৈতিক সমাধানের পথ অনুসরণ করেছিল বলে জানান ড. নোয়াম। তবে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত সামরিক পথ গ্রহণ ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না।
তিনি বলেন, অভিযানের লক্ষ্য ছিল—ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট স্থাপনা, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি, সামরিক অবকাঠামো, শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সক্রিয় লড়াইয়ে যুক্ত গোষ্ঠীগুলো।
ড. নোয়াম বলেন, ‘ইসরায়েল বেসামরিক প্রাণহানি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছে এবং সম্ভাব্য সাফল্যের তুলনায় অযাচিত ধ্বংস যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করেছে।’
এই বক্তব্য এসেছে এমন এক সময়ে যখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও অ্যাটর্নি জেনারেল গালি বহারাভ-মিয়ারার মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। শিন বেত গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান নিয়োগকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে।
বহারাভ-মিয়ারা অভিযোগ করেন, কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গোপন নথি ফাঁসের ঘটনায় নেতানিয়াহুকে দায়িত্ব পালনে বিরত রাখা উচিত। তবে নেতানিয়াহু পাল্টা দাবি করেন, ‘জাতীয় নিরাপত্তা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—যা সব কিছুর ঊর্ধ্বে।’