১৯ জুন ২০২৫, ১৫:২৫

ইরানের পারমাণবিক চুল্লিতে হামলা 

ইরানের পারমাণবিক চুল্লি  © সংগৃহীত

ইরানের আরাক পারমাণবিক চুল্লিতে ও নাতাঞ্জ শহরে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির স্থাপনায় হামলা চারিয়েছে ইসরায়েল। এমন তথ্য জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। বুধবার (১৮ জুন) রাতে এ হামলার খবর পাওয়া গেছে। খবর বিবিসি বাংলার

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের একটি পারমাণবিক চুল্লির কাছাকাছি এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে। এই চুল্লিটি বর্তমানে ‘নিষ্ক্রিয়’ অবস্থায় আছে। তবে চুল্লিটি সরাসরি আক্রান্ত হয়েছে কি না, সে বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এ ঘটনাটি এমন সময় ঘটলো যখন ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে এবং পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ঘিরে উদ্বেগ বাড়ছে আন্তর্জাতিক মহলে। 

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, এ চুল্লিটি এমনভাবে তৈরি যে এটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্লুটোনিয়াম উৎপাদনে সক্ষম, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। এ হামলা প্লুটোনিয়াম উৎপাদনের জন্য নির্ধারিত অংশকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে, যাতে চুল্লিটি পুনরায় চালু করে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহার করা না যায়। নাতাঞ্জ শহরে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনায় এমন বিশেষ যন্ত্রাংশ ও উপকরণ রয়েছে, যা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহার হয়, এবং সেখানে এমন প্রকল্প চলছে যা পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচিকে দ্রুত এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

আইডিএফ আরও জানিয়েছে, তাদের সর্বশেষ হামলায় ৪০টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয় এবং ইরানের বহু সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানে। যার মধ্যে রয়েছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের কাঁচামাল প্রস্তুতের কারখানা, যন্ত্রাংশ তৈরির কেন্দ্র, এবং ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ও ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ কেন্দ্র।

এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী-আইডিএফ আরাক ও খোন্দাব শহরের বাসিন্দাদের নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকা ছাড়ার সতর্কবার্তা দেয়। এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক পোস্টে তারা নির্দিষ্ট একটি এলাকার লোকজনকে ‘যত দ্রুত সম্ভব সরে যেতে’ বলে।

ইরানের ছাত্রদের পরিচালিত বার্তা সংস্থা আইএসএনএ জানায়, হামলার আগেই স্থাপনাটি খালি করে ফেলা হয় এবং বিকিরণের কোনো ঝুঁকি নেই বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

নাতাঞ্জে এর আগেও হামলা হয়েছে। এ সপ্তাহের শুরুতে, বৈশ্বিক পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধান গণমাধ্যমকে জানান, ইরানের ভূগর্ভস্থ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রে থাকা সেন্ট্রিফিউজগুলো পুরোপুরি ধ্বংস না হলেও সম্ভবত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

ইসরায়েল অভিযোগ করেছে, ইরান সম্প্রতি তাদের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুদকে ‘অস্ত্র তৈরির পথে’ নিয়ে যাচ্ছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদন বা পারমাণবিক বোমা দুটোর জন্যই ব্যবহৃত হতে পারে।