১৪ জুন ২০২৫, ১১:৫৭

ইসরায়েলকে বাঁচাতে আসবে যারা, তাদের উদ্দেশে ইরানের সতর্কবার্তা

ইসরায়েলে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা  © সংগৃহীত

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় ইরানের অনেক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণুবিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ইরান ইসরায়েলে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ৩ জন নিহত ও ২১ জনেরও বেশি আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

তবে ইরান বলেছে, তারা ইসরায়েলের ওপর হামলা আরও বাড়াবে। একজন সিনিয়র ইরানি কর্মকর্তা জানিয়েছে, ‘ইরান চাইলে এই হামলা আরও জোরালো করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, যে দেশগুলো চাইবে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে, তাদের ঘাঁটিতেও হামলা হতে পারে।

ইরান মনে করে, আত্মরক্ষার অধিকার তাদের রয়েছে। কারণ, ১৩ জুন সকালে ইসরায়েল যে হামলা চালিয়েছে, তা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ও পারমাণবিক স্থানে আঘাত করেছে এবং অনেক কমান্ডার ও বিশেষজ্ঞকে হত্যা করেছে।

গতকাল শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি’র অংশ হিসেবে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। এ হামলায় তারা ইসরায়েলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ও স্থাপনায় আঘাত হানে এবং দেশটির দুর্ভেদ্য আকাশ প্রতিরক্ষাও অল্প সময়ের মধ্যেই ভেদ করে যায়।

ইরানি বিপ্লবী গার্ড কর্পস বলেছে, এ অভিযান সম্পূর্ণভাবে ইসলামী বিপ্লবের নেতা ও সেনাপ্রধানের নির্দেশ এবং জনগণের দাবিতে পরিচালিত হয়েছে।

ইরান জানায়, শুক্রবার রাতের এ অভিযানে তেল আভিভ, হাইফা ও জেরুজালেমসহ একাধিক শহরে সাঁই সাঁই করে উড়ে যায় ডজনখানেক ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। আকাশে আলোর ঝলকানি আর বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে জনজীবন।

ইসরায়েলের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান যে প্রতিশোধ নেবে, তার ইঙ্গিত বহু আগেই মিলেছিল। ইরান জানিয়েছিল, তারা একসঙ্গে ৬০০-এরও বেশি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক মিসাইল ছোড়ার সক্ষমতা অর্জন করেছে।

এ তথ্য সামনে আসার পর থেকেই নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছিলেন, ইসরায়েল যদি উত্তেজনা বাড়ায়, তবে তার পরিণাম ভয়াবহ হতে পারে।