১৩ জুন ২০২৫, ১৬:১০

ইরানের পাল্টা হামলার আশঙ্কায় খাবার-পানি মজুত করছে ইসরায়েলিরা

বাঙ্কারে ইসরায়েলিরা  © সংগৃহীত

রাত ৩টার দিকে হঠাৎ সাইরেনের শব্দ আর মোবাইলের সতর্কবার্তায় ঘুম ভাঙে ইসরায়েলিদের। ইসরায়েল সরকার জানায়, তারা ‘গুরুতর হুমকির’মুখে রয়েছে। তাই সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রের আশপাশে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।

ইসরায়েলের জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, দেশজুড়ে রক্ত সংগ্রহের কর্মসূচি জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি যেসব রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার মতো অবস্থায় আছেন, তাদেরকে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে জরুরি প্রয়োজনে হাসপাতালগুলো প্রস্তুত থাকে।

পাল্টা হামলার শঙ্কাতেই এসব প্রস্তুতি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, ইরান ইতোমধ্যে প্রায় ১০০টি ড্রোন ছুঁড়েছে ইসরায়েলের দিকে। তবে দেশটির গণমাধ্যম দাবি করছে, সবগুলো ড্রোনই সফলভাবে ভূপাতিত করা হয়েছে।

সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই খাবার ও পানি মজুত করছেন। যদিও হোম ফ্রন্ট কমান্ড জানিয়েছে, আপাতত আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানের প্রয়োজন নেই, তবে সবাইকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।

এদিকে পশ্চিম তীরের সব ফিলিস্তিনি শহরে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত।

তেহরানে ইসরায়েলের একাধিক হামলার পর ইরান সরকার নিজ দেশের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে আশপাশের দেশগুলোতেও। কাতার এয়ারপোর্টের ফ্লাইট ইনফরমেশন বোর্ডে দেখা যাচ্ছে, ইরান ও ইরাকগামী বহু ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এখন ইরাকের আকাশপথ এড়িয়ে চলেছে। [সূত্র: বিবিসি]