হোস্টেলে লাঞ্চ চলাকালীন বিধ্বস্ত হয় বিমান, আহত ১৫ ইন্টার্ন চিকিৎসক
বৃহস্পতিবার দুপুরবেলা এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় কেঁপে উঠল আমদাবাদ শহরের মেঘানীনগর এলাকা। বিজে মেডিকেল কলেজের ইউজি হোস্টেলের মেসে লাঞ্চ চলাকালীন আচমকাই বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭ বিমান। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। এসময় আহত হন অন্তত ১৫ জন জুনিয়র ডাক্তার ও মেডিকেল ইন্টার্ন। ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় উঠে আসে রুদ্ধশ্বাস সেই মুহূর্তের চিত্র। মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীর ভাষ্য, ‘আমরা সবাই লাঞ্চ করছিলাম। হঠাৎ একটা বিশাল শব্দ। চোখের সামনে যেন সব অন্ধকার হয়ে গেল। জানলার কাঁচ ভেঙে উড়ে এল, চারপাশে ধোঁয়া আর ধ্বংসস্তূপ। আমরা কিছুই বুঝে ওঠার আগেই বিল্ডিংয়ের ওপর বিমান এসে পড়ে।’
বিমানটির ধ্বংসাবশেষ হোস্টেলের মেস এবং রান্নাঘরের উপর পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষের পরপরই হোস্টেলের একটি অংশ দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। আহতদের দ্রুত সিভিল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
হোস্টেলের এক ছাত্রের মা সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানান, ‘আমার ছেলে ওই মেসেই খাচ্ছিল। বিমান ভেঙে পড়ার পর ও জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে কোনওমতে বেঁচে যায়। এখন ও হাসপাতালে ভর্তি। খুব ভয়ের সময় গেছে ওদের জন্য।’
বিমানটিতে মোট ২৩১ জন যাত্রী ছিলেন। যার মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগিজ এবং ১ জন নাগরিকের (জাতীয়তা অজানা) উপস্থিতি ছিল। বিমানটি আমদাবাদ থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিল। তবে টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে আছড়ে পড়ে।
বিমানটি ছিল বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭ মডেলের, যার প্রথম উড়ান হয়েছিল ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে। অর্থাৎ এটি একটি প্রায় ১২ বছর পুরোনো বিমান। দুর্ঘটনার সময় এতে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি মজুত ছিল, যার ফলে সংঘর্ষের পর আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় শুধু কলেজ হোস্টেল নয়, আশপাশের ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্ধারকাজ চলছে পুরোদমে।