২৬ মে ২০২৫, ২১:০২

যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী

প্রতীকী ছবি  © সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরে চলমান গাজা যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনা জেগে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এক নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। বার্তাসংস্থা রয়টার্স সোমবার এক প্রতিবেদনে জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকোফের মাধ্যমে প্রস্তাবটি হামাসের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। সূত্র বলছে, এই প্রস্তাবে হামাস ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।

প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ হবে ৭০ দিন। এ সময়ের মধ্যে হামাস ধাপে ধাপে ১০ জন জীবিত জিম্মিকে মুক্তি দেবে এবং ইসরায়েল আংশিকভাবে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে। এর পরিবর্তে ইসরায়েলের কারাগারে আটক থাকা বেশ কিছু ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

এক হামাস কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, “হামাস দুই ধাপে ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে। সেই সঙ্গে ৭০ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে এবং ইসরায়েলি সেনারা গাজা থেকে আংশিকভাবে সরে যাবে।”

চুক্তির আওতায়, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরপরই গাজায় শর্তহীনভাবে মানবিক ত্রাণ সরবরাহ চালু করা হবে। যুদ্ধবিরতির পুরো প্রক্রিয়াটি সরাসরি নজরদারি করবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ট্রাম্প গ্যারান্টি দিচ্ছেন যে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে।

এদিকে, স্টিভ উইটকোফ এই যুদ্ধবিরতির খসড়া প্রস্তাব ইতোমধ্যে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছেন এবং তাদের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।

তবে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল দাবি করেছে, নেতানিয়াহু সরকার ইতোমধ্যেই এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা সাময়িক যুদ্ধবিরতির বদলে স্থায়ী ও পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা নিশ্চয়তার ভিত্তিতে আলোচনায় যেতে আগ্রহী।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি উইটকোফ মার্কিন সংবাদমাধ্যম Axios-কে বলেন, “ইসরায়েল এমন একটি চুক্তি চায় যাতে কিছু জিম্মি মুক্তির পাশাপাশি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ভিত্তি তৈরি হয়। এই অবস্থান যুক্তিসংগত, তবে হামাসের উচিত এই সুযোগ কাজে লাগানো।”

সাময়িক হলেও হামাসের এই সম্মতিতে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে। এখন আন্তর্জাতিক মহলের নজর ইসরায়েলের চূড়ান্ত অবস্থানের দিকে।