‘পাইলটের সাহস না থাকলে রাফাল যুদ্ধবিমান দিয়েও কিছু হবে না’
পাক-ভারত সংঘাত নিয়ে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, পাইলটের সাহস না থাকলে রাফাল যুদ্ধবিমান দিয়েও কিছু হবে না। ভারত যদি সমতার ভিত্তিতে আলোচনা করতে চায়, তাহলে পাকিস্তান সবসময়ই প্রস্তুত। তবে ভারত বরাবরই আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখিয়েছে।
সোমবার (১২ মে) পাকিস্তানের হাম নিউজের টকশো ‘ফয়সালা আপ কা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (১৩ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম হাম নিউজ।
সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার বলেন, ‘দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে বিদ্যমান গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলো আলোচনা ও কূটনৈতিক পথে সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু ভারত অহংকারপূর্ণ ও একতরফা আচরণ করছে।’
তিনি জানান, পেহেলগাম হামলার পর ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করে এবং পাকিস্তানের ভূখণ্ডে হামলা চালায়— যা দেশটির আগ্রাসী মনোভাবেরই প্রমাণ।
ইসহাক দার বলেন, ‘আমরা জানতাম পেহেলগামের ঘটনার পর ভারত প্রতিক্রিয়া দেখাবে, তাই আমরা প্রস্তুত ছিলাম। ৬ মে ভারত ছয়টি ভিন্ন স্থানে একযোগে ২৪টি হামলা চালায়।’
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান আগেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করেছিল যে, তারা আগে কোনো সংঘর্ষে জড়াবে না। কিন্তু যদি তাদের ওপর আক্রমণ হয়, তবে কঠোর জবাব দেওয়া হবে। ‘৯ মে ভারত গুরুতর একটি ভুল করেছিল— আর আমরা তার উপযুক্ত জবাব দিয়েছি’ বলেন তিনি।
ভারতের সামরিক শক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘শুধু রাফাল যুদ্ধবিমান থাকলেই হয় না, সাহসী পাইলট ছাড়া তা মূল্যহীন।’ ভারতের আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ইসহাক দার জোর দিয়ে বলেন, ‘এই মুহূর্তে পাকিস্তান একটি কৌশলগতভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। আমাদের সাহসী সেনাবাহিনী দেশের মর্যাদা রক্ষা করতে জানে।’
ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে চিহ্নিত করার অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তান। আমরা অসংখ্য জীবন হারিয়েছি, বিপুল সম্পদের ক্ষতি হয়েছে, ঋণের বোঝা বেড়েছে— তবুও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই থামিয়ে দিইনি।’
তিনি জানান, অপারেশন জরব-ই-আযব, রাদ-উল-ফসাদ এবং রাহ-এ-নাজাতের মতো সামরিক অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তান উল্লেখযোগ্যভাবে সন্ত্রাস দমনে অবদান রেখেছে। চলমান অপারেশন আজম-ই-ইস্থেকামের মাধ্যমে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে বড় ধরনের আঘাত হানা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।