পাকিস্তানের ‘অপারেশন বুনিয়ান উম মারসুস’ এর অর্থ কী?
ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানের পাল্টা জবাব দিতে ‘অপারেশন বুনিয়ান উম মারসুস’ শুরু করেছে পাকিস্তান। শুক্রবার (৯ মে) রাতে এ অভিযানের আওতায় ভারতের ১১টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাহিনী।
সিঁদুর মানে তো আমরা প্রায় সবাই জানি কিন্তু ‘বুনিয়ান উম মারসুস’ এর অর্থ কী? এই নামটি মূলত পবিত্র কুরআনের একটি আয়াত থেকে নেওয়া হয়েছে। ‘বুনিয়ান উম মারসুস’ এর অর্থ ‘গলিত সীসা দিয়ে তৈরি প্রাচীর’, যা শক্তি, সংহতি এবং দুর্ভেদ্যতার প্রতীক।
সুরাহ আস-সফ এর ৪ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধভাবে লড়াই করে, যেন তারা সীসাগালানো প্রাচীর।’ ("إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا كَأَنَّهُم بُنْيَانٌ مَّرْصُوصٌ")। এই আয়াত থেকেই নামটি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে এর মধ্যেই পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রক কমিটির সভা ডেকেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দেশটির ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির (এনসিএ) বৈঠক ডেকেছেন। এনসিএ দেশটির স্থল, আকাশ ও নৌ বাহিনীর জন্য যৌথ কৌশল প্রণয়নে ভূমিকা রাখে। তবে এর আরও গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রের দেখভাল করা এবং এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র ও অর্থমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদন বিষয়কমন্ত্রীও এ সংস্থার সদস্য। এই কমিটিতে জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ, তিন বাহিনীর প্রধান, স্ট্র্যাটেজিক প্লানস ডিভিশনের (এসপিডি) ডিরেক্টর সদস্য হিসাবে রয়েছেন।