ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি ট্রুডোর
নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডা থেকে আসা সকল পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকেও একই বার্তা দেওয়া হয়েছে কানাডাকে। শুল্ক আরোপের বিরুদ্ধে জোরালো কিন্তু যুক্তিসংগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
গতকাল কানাডা-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদের একটি বৈঠকে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘আমার বলতে দ্বিধা নেই, আসছে দিন ও সপ্তাহগুলোতে আমাদের দেশকে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে হবে। আমি জানি, কানাডার নাগরিকেরা হয়তো উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত। কিন্তু আমি তাদের জানাতে চাই, ফেডারেল সরকার ও সরকারি সব সিদ্ধান্ত প্রকৃতপক্ষে তাদের কথা ভেবেই নেওয়া হয়।’
টিভিতে এক মন্তব্যে তিনি বলেন, আমরা এটি চাই না। কিন্তু তিনি (ট্রাম্প) যদি সামনে আগান তাহলে আমরাও ব্যবস্থা নেব। সব বিকল্পই টেবিলে আছে।
আজ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডার পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর বড় অঙ্কের শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন।
স্থানীয় সময় গতকাল রাতে হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়, এ সপ্তাহান্ত থেকেই কানাডা ও মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা পণ্যকে ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। এ ছাড়া চীনের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, অটোয়ার কর্মকর্তারা কী ধরনের পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া যায় তার একটি ছক কষছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রকাশ করতে তারা আপাতত প্রস্তুত নন।
ট্রাম্প ও হোয়াইট হাউসের ঘোষণা অনুযায়ী, আজ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডার পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর বড় অঙ্কের শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন।
তবে কানাডার তেলের ওপর ২৫ শতাংশ নয়, বরং ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তেলের ওপর শুল্ক কার্যকরও এখনই হচ্ছে না বলে গতকাল জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র। ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটির তেলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কার্যকর হবে।