১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০২

ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন

ইসরায়েলের মন্ত্রিসভায় গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুমোদন
  © ফাইল ছবি

দীর্ঘ ১৫ মাস পর ফিলিস্তিনের গাজায় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হতে যাচ্ছে। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রিসভা এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুমোদন করেছে। আগামী রবিবার থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ‘সমস্ত রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও মানবিক দিক পর্যবেক্ষণের পর এবং প্রস্তাবিত চুক্তি যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জনকে সমর্থন করে’ এই বোঝার পর চুক্তিটি গ্রহণ করেছে।

আরও বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভা ‘সরকারকে প্রস্তাবিত রূপরেখা অনুমোদন করার’ সুপারিশও করেছে। চুক্তিটি এখন আলোচনা ও আনুষ্ঠানিক ঘোষণার জন্য পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভায় যাবে।

ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার কিছু কঠোরপন্থির তীব্র বিরোধিতার মুখেও নেতানিয়াহুর জোট সরকারের ২৪ জন মন্ত্রী এই চুক্তির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এ ছাড়া আটজন সদস্য এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে। 

চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি প্রথমে ছয় সপ্তাহের জন্য কার্যকর হবে। তখন গাজায় বন্দী ব্যক্তিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে আটক ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেয়া হবে। এর মাধ্যমে ১৫ মাসের যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানোর পথ খুলবে।

কাতারি ও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী রবিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে। 

এর আগে, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের ঐকমত্যের বিষয়টি গত বুধবার সামনে আনে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার। এরপর শুক্রবার নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা ও সরকারের অনুমোদনের পর চুক্তি বাস্তবায়ন ও জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি পরিকল্পিত কাঠামো অনুযায়ী এগোবে। রবিবার থেকে জিম্মি মুক্তি শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলা সহিংসতার শুরুর দিকে একবার মাত্র অল্প সময়ের জন্য যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। এরপর যুদ্ধবিরতির জন্য দফায় দফায় আলোচনা হয়। তবে আশার আলো দেখা যায়নি। সম্প্রতি চুক্তির জন্য জোর তৎপরতার মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হন হামাস ও ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা। তবে এ নিয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেন ইরায়েলের সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনেকে।