এবার অভিশংসিত হলেন দ. কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট

দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছে। দুই সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইত্তল অভিশংসনের পর দায়িত্ব নেওয়া ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সুও এবার অভিশংসিত হলেন। সামরিক আইন জারির পরও অচলাবস্থা কাটাতে ব্যর্থ হওয়ায় তার এই পরিণতি।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
জানা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু’র অভিশংসনের পক্ষে ভোট দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। অভিশংসনের জন্য ১৫১ ভোটের প্রয়োজন পড়লেও তাকে সরানোর পক্ষে ভোট দিয়েছেন ১৯২ জন আইনপ্রণেতা।
পার্লামেন্টে হানের বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপন করে বিরোধীরা বলেন, 'হান ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্রোহের সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে বিশেষ তদন্ত এড়িয়ে যাচ্ছেন এবং সাংবিধানিক আদালতের তিনজন বিচারকের নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করার ক্ষেত্রে তার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেছেন। এই ধরনের কাজ একজন সরকারি কর্মকর্তার আইন সমুন্নত রাখা এবং জনগণের সেবা করার দায়িত্বের লঙ্ঘন।’
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান বিরোধের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সাংবিধানিক আদালতের গঠন, যা ইউনকে অভিশংসনের সংসদীয় সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে কি না তা নির্ধারণ করবে। সাংবিধানিক আদালতে বর্তমানে তিনজন বিচারকের অভাব রয়েছে। আদালত বেঞ্চের ছয় সদস্য নিয়েই এগিয়ে যেতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে একটি মাত্র ভোট বিপক্ষে পড়লেই তা ইউনকে পুনর্বহালের জন্য যথেষ্ট হবে।
বিরোধীরা চায় হান যেন নয় সদস্যের বেঞ্চ পূরণের জন্য আরও তিনজন মনোনীত ব্যক্তিকে অনুমোদন দেয়। কিন্তু তিনি এখনও এটি করতে অস্বীকার করে চলেছেন। মূলত এই বিষয়টি নিয়ে দেশটিতে অচলাবস্থা চলছে।
উল্লেখ্য, বিরোধী দল তাদের এ চেষ্টায় সফল হয়েছে। ফলে দক্ষিণ কোরিয়া দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের অভিশংসন দেখল। আর এর মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথমবারের মতো একজন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট অভিশংসিত হলেন। হান পরবর্তীতে অর্থমন্ত্রী চোই সাং-মোক ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারেন।