গাজায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বিষন্ন বড়দিন উদযাপন
আজ বড়দিন, যা খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব। বিশ্বজুড়ে যিশু খ্রিস্টের জন্মতিথির এই দিনটি নানাভাবে পালিত হলেও আগের কয়েক দশকের মতো গাজায় নেই উৎসবের আমেজ। যুদ্ধের এই ভয়াবহতার মধ্যে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় শত শত খ্রিষ্টান মঙ্গলবার একটি গির্জায় জড়ো হয়ে যুদ্ধের অবসানের জন্য প্রার্থনা করেছেন।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আরব নিউজ।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি শহরে সাধারণত বড়দিনের সময় করা হতো ঝলমলে আলোকসজ্জা, বাড়ি সাজানো হতো বিশাল খ্রিস্টমাস ট্রি দিয়ে। তবে এবার যেন ফিকে সবকিছু।
গত ১৪ মাস ধরে চলমান ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অভিযানে বিধ্বস্ত গাজায় এ উৎসবের লেশমাত্র উদ্যাপন নেই। কোথাও উৎসবমুখর আলোকসজ্জা হয়নি, উপত্যকার কোনো খ্রিষ্টান বাড়িতে রাখা হয়নি বড়দিন উদযাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ ক্রিসমাস ট্রিও। তবুও পবিত্র বড়দিনের প্রার্থনায় অংশ নিতে মঙ্গলবার গাজার প্রধান শহর গাজা সিটির বৃহত্তম গির্জা গ্রিক অর্থোডক্স চার্চ অব সেইন্ট পরফিরিয়াসে জড়ো হয়েছিলেন শতাধিক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। সেখানে গাজায় মৃত্যু ও ধ্বংসযজ্ঞ শেষের জন্য প্রার্থনা করেছেন তারা।
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুসারে, আজ থেকে ২ হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে যিশুখ্রিষ্ট জেরুজালেমের বেথেলহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। যে গ্রামে তিনি জন্মেছিলেন, সেটি বর্তমানে ফিলিস্তিনের অন্তর্গত। তবে ফিলিস্তিনের নেটিভিটি চার্চে এবার প্রতিবন্ধকতা বসিয়েছে ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা বাহিনী। নেটিভিটি চার্চটি যেখানে যিশুর জন্ম হয়েছিল বলে ধারণা করা হয় ঠিক সেখানেই নির্মাণ করা হয়েছে।
নেটিভিটি চার্চ, বেথলহাম
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ করে। ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় গাজা সিটিতে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স সদর দফতরে ২ জন নিহত হন। জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে নিহত হন ৯ জন। এই পরিস্থিতিতে গাজার খ্রিষ্টান সম্প্রদায় তাদের ধর্মীয় উৎসবের সময় শান্তি এবং ধ্বংসযজ্ঞের অবসানের জন্য প্রার্থনা করেছেন।