ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার হামলা
দীর্ঘদিন ধরে চলা যুদ্ধের প্রভাবে এমনিতেও বড়দিনের আনন্দ বিলীন হয়ে গিয়েছিল ইউক্রেনের বাসিন্দাদের। এর মধ্যে আজ বুধবার ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের সকালেই দেশটির জ্বালানি অবকাঠামো ও পূর্বাঞ্চলের শহরগুলোতে ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। গত রোববার রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাজান শহরে ড্রোন হামলা চালায় কিয়েভ। এ হামলার প্রতিশোধ নিতে ইউক্রেনে আরও ‘ধ্বংসযজ্ঞ’ চালানোর হুমকি দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পরই এ হামলা হলো।
ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রী এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, আজ সকালে এ হামলা চালানো হয়েছে।
নর্থইস্ট ইউক্রেনের খারকিভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ সিনিয়েহুবভ।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর বরাতে টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে সিনিয়েহুবভ জানিয়েছেন, বুধবার সকালে খারকিভে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। এতে বেসামরিক আবাসিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অন্যদিকে, ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক গভর্নর সের্হি লিসাক টেলিগ্রামে বলেছেন, সকাল থেকে ডিনিপ্রো অঞ্চলে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনাবাহিনী। এই অঞ্চলের জ্বালানি অবকাঠামো ধ্বংসের চেষ্টা করছে তারা।
ইউক্রেনের জ্বালানিমন্ত্রী জার্মান গালুশচেঙ্কো ফেসবুকে জানান, রাশিয়া তাদের জ্বালানি খাতের ওপর ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে। ক্ষতি কমাতে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাজাখস্তানে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, বহু হতাহতের শঙ্কা
এ ছাড়া বুধবার সকালে রাশিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী দেশব্যাপী বিমান সতর্কতা জারি করে।
এদিন সকাল থেকেই দেশটির পূর্ব, মধ্য, দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্রবাহী বিমান বা ড্রোন উড়ে যাওয়ায় বারবার সতর্ক করছিল স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ও বিমান বাহিনী।
টেলিগ্রামে দেশটির সবচেয়ে বড় বেসরকারি জ্বালানি প্রতিষ্ঠান ডিটিইকে জানিয়েছে, তাদের উৎপাদন ব্যবস্থাগুলোতে হামলা চালানো হয়েছে। যার ফলে বিদ্যুৎ সরঞ্জামের গুরুতর ক্ষতি হয়েছে।
চলতি বছরে ইউক্রেনের জ্বালানি খাতের ওপর আক্রমণ বাড়িয়েছে রাশিয়া। এরই মধ্যে দেশটির প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ধ্বংস করেছে রুশরা। যার ফলে দেশব্যাপী ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে।