এবার ভারত সীমান্তে ‘চিন’ প্রদেশ দখলে নিল মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা
ভারতের মণিপুর রাজ্যের লাগোয়া মিয়ানমারের ‘চিন’ প্রদেশ দখলে নিয়েছে দেশটির বিদ্রোহী যোদ্ধারা। বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা রাখাইন রাজ্য দখলের পর এবার ভারতের সীমান্তঘেঁষা রাজ্য চিন দখল করল তারা।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিদ্রোহী গোষ্ঠী চিন ব্রাদারহুডের মুখপাত্র ইয়াও ম্যাং বলেন, ‘আমাদের যোদ্ধারা মিনদাত ও কানপেটলেট শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে। চিনের ৮০ শতাংশ এখন আমাদের দখলে।’
মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে হটিয়ে থাইল্যান্ড ও চীন সীমান্তের বেশির ভাগ অংশ কয়েক মাস আগেই দখলে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। চলতি মাসের প্রথম দিকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্য নিয়ন্ত্রণে নেয়। এর কয়েক দিনের ব্যবধানে ভারতের মণিপুর সীমান্তের চিন প্রদেশও দখল নিল তারা।
সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জান্তাবিরোধী নতুন জোট ‘চিন ব্রাদারহুড’-এর শরিক ‘ইয়াও ডিফেন্স ফোর্স’, সাগাইন অঞ্চলে সক্রিয় ‘ইয়াও আর্মি’ এবং ‘মনিওয়া পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ চিন প্রদেশ দখলের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
আরও পড়ুন: যাদের ফাঁসিতে ঝোলানোর হুমকি দিলেন ট্রাম্প
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী অং সান সু চির দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’র নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করেছিল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। শুরু হয়েছিল সামরিক সামরিক শাসন। এর আড়াই বছরের মাথায়, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে সে দেশের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী- ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মির (এমএনডিএএ) নতুন জোট ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ সামরিক জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন ১০২৭’।
পরবর্তী সময়ে জান্তা-বিরোধী যুদ্ধে শামিল হয় ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ) এবং সু চির সমর্থক স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটির গভর্নমেন্ট’ সশস্ত্র বাহিনী ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ (পিডিএফ)।
থাইল্যান্ডে নির্বাসিত মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থীদের পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ‘ইরাবতী’ খোলাখুলি বিদ্রোহীদের পক্ষে প্রচার চালাচ্ছে। আর নতুন জোট চিন ব্রাদারহুড’ গঠিত হয়েছে চলতি বছরের গোড়ায়।