২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬:১৯

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সি কী ইলন মাস্কের হাতে, যা বললেন ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক  © সংগৃহীত

বেশ কয়েক দিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতারা দাবি করছেন যে, দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ইলন মাস্কের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে টেসলা-স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে অস্বাভাবিকভাবে বড় প্রভাব বিস্তার করছেন বলে মনে করা হচ্ছে। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, রোববার (২২ ডিসেম্বর) অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যে এক ভাষণে ট্রাম্প এই বিষয়ে কথা বলেছেন।  

এই সমালোচনার বিষয়ে প্রথমবারের মতো সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ট্রাম্প মাস্কের প্রশংসা করেন এবং বলেন, ‘না, তিনি প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব নিচ্ছেন না।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘তিনি প্রেসিডেন্সি ইলন মাস্কের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন—এই ধারণাটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের ছড়ানো আরেকটি প্রতারণা।’ পরে ট্রাম্প রসিকতা করে উল্লেখ করেন যে, মাস্কের প্রেসিডেন্ট হওয়ার ঝুঁকি নেই। কারণ, তিনি সাংবিধানিকভাবে এই পদে থাকতে পারবেন না। ট্রাম্প বলেন, ‘আপনারা জানেন, কেন তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না? কারণ, তিনি এই দেশে জন্মগ্রহণ করেননি।’

দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করা ইলন মাস্ক বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। সর্বশেষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে তিনি ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় সমর্থকদের একজন হয়ে ওঠেন। তিনি জুলাই মাসে এক হত্যাচেষ্টার পর ট্রাম্পকে সমর্থন করেন এবং ট্রাম্পকে সমর্থনকারী একটি পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটিকে আনুমানিক ২০০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেন। নির্বাচনে জয়লাভের পর ট্রাম্প তাঁকে প্রস্তাবিত ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিশিয়েন্সির নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মনোনীত করেন। সরকারের এই বিভাগের কাজ হবে ফেডারেল সরকারের ব্যয় কাটছাঁট করা।

ডেমোক্রেটিক নেতারা দাবি করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনে মাস্কের এই প্রভাব গভীর উদ্বেগের কারণ। তাদের মতে, এই প্রভাব কেবল সরকারে ব্যক্তিগত স্বার্থের প্রবেশকেই নির্দেশ করে না, বরং ফেডারেল নীতি ও পরিচালনার ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্বের ঝুঁকিও তৈরি করে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর ইলন মাস্কের প্রভাব ডেমোক্র্যাটদের আক্রমণের মূল হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। একজন অনির্বাচিত নাগরিক কীভাবে এত বেশি ক্ষমতার অধিকারী হতে পারেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
 
গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ইলন মাস্কের প্রভাবে একটি সরকারি তহবিল প্রস্তাব বাতিল হয়ে গেছে। এ কারণে খোদ রিপাবলিকানদের মধ্যেও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।  সেকারণে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থাগুলোর কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া, অর্থাৎ, ‘শাটডাউন’ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। দেশকে এই হুমকির মুখে ঠেলে দেয়ার পেছনে মূল ভূমিকা ছিল মাস্কের। যদিও শুক্রবার মার্কিন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে বিলটি পাস হয়।