১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:৫৮

শিক্ষককে অপহরণ করে জোরপূর্বক বিয়ে

অবনীশকে জোর করে ধরে রাখা হয়েছে  © সংগৃহীত

সরকারি চাকরি অনেকের জন্য স্বপ্ন, কিন্তু এক যুবকের জন্য তা হয়ে উঠল দুঃস্বপ্ন। পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেতেই ওই যুবককে বন্দুক ঠেকিয়ে অপহরণ করা হয় এবং জোরপূর্বক এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) ভারতের বিহার রাজ্যে এই ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'সরকারি চাকরিজীবী ওই যুবকের নাম অবনীশ কুমার। তিনি বিহারের বেগুসরাই জেলার বাসিন্দা। শুক্রবার তিনি স্কুলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথিমধ্যেই অন্তত এক ডজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার দিকে বন্দুক ঠেকিয়ে অপহরণ করে। এরপর তাকে মারধর করে জোরপূর্বক গুঞ্জন নামে এক তরুণীর সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। তবে এই তরুণীর সঙ্গে অবনিশের চার বছরের সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।' 

এ বিষয়ে গুঞ্জন জানান, 'অবনীশের সঙ্গে তার চার বছরের সম্পর্ক ছিল এবং তাদের বিয়ের পরিকল্পনাও ছিল। কিন্তু সরকারি চাকরি পাওয়ার পর অবনীশ সবকিছু অস্বীকার করে এবং তার সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দেয়। এই ঘটনা জানার পর গুঞ্জনের পরিবার অবনীশকে জোর করে তুলে এনে তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে।'

গুঞ্জনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে অবনীশ বলেন, ‘আমি ওই মেয়েকে চিনি না। ওই মেয়ে বারবার ফোন করে আমাকে বিরক্ত করত। ঘটনার দিন কয়েকজন আমাকে অপহরণ করে। এরপর আমাকে মারধর করে এবং জোর করে বিয়ে দেয়।’

বিয়ের পরে বাধে আরেক বিপত্তি। অবনীশের বাড়িতে যান গুঞ্জন। কিন্তু অবনীশের বাবা-মা গুঞ্জনকে পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নেননি। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানান গুঞ্জন। পাল্টা অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন অবনীশও। 

এ বিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটির তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।