দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের দাবি, ফৌজদারি তদন্ত শুরু
দক্ষিণ কোরিয়ায় গত সপ্তাহে জারি হয় সামরিক আইন। একে কেন্দ্র করেই প্রেসিডেন্ট ইউন সুক–ইওলের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু হয় এবং তাকে গ্রেপ্তার এর দাবি জানায় জনগণ। আজ রবিবার (৮ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন কৌঁসুলিরা। এরই মধ্যে, দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ইউনকে অভিশংসিত করার দাবিতে পার্লামেন্টের সামনে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করছেন আজ। সেই সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করা এবং তার দলকে ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার দেশজুড়ে সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। সামরিক আইন প্রত্যাহার করতে ও প্রেসিডেন্ট ইউনের অভিশংসনের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে মানুষ। কিন্তু গতকাল শনিবার বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে হওয়া এ–সংক্রান্ত ভোটে উতরে গেছেন তিনি।
প্রেসিডেন্টকে তার দায়িত্ব পালন থেকে সরিয়ে রাখার এ প্রস্তাবে মৌন ভূমিকা পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এতে এক প্রকার সমর্থন ই জানিয়েছেন তিনি। তবে বিরোধীদলীয় আইনপ্রণেতারা এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন।
ইউনের সামরিক আইন জারির ঘোষণায় এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদেশটি কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকটে পড়ে। হুমকিতে পড়ে দেশটির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সাফল্যের কাহিনিও।
তবে অভিশংসিত হওয়া থেকে এ যাত্রায় রক্ষা পেলেও পদত্যাগ করার আগে তাকে তার কাজ থেকে সত্যিকার অর্থেই দূরে রাখা হবে বলে জানান প্রেসিডেন্ট ইউনের নিজ দলের নেতা।