বাংলাদেশ-ভারতের নাগরিকের কথা শুনতে চায় কবীর সুমনদের 'শান্তিসেতু'
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের গীতিকার এবং সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় তিনি বাংলাদেশ-ভারতের নাগরিকের কথা শুনতে চাওয়ার আকুতি জানান।
কবীর সুমন বলেছেন, আমি ভারতীয় নাগরিক। বন্ধুরা চারদিকে এমন এমন অনেক ঘটনা ঘটে চলেছে তাই আমরা সমনোভাবাপন্ন মানুষ মিলে শান্তিসেতু নামে একটি মঞ্চ গঠন করছি। এর সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো দলের সম্পর্ক নেই। কোনো বিশেষ ধর্ম বা বিশেষ মতবাদের কোন সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, এটা বলতে পারেন একটা বান্ধব সমিতি যেটি কাঁটা তারের সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে এপারে বাংলাদেশ ও ভারতের সমনোভাবাপন্ন শান্তিকামী শান্তিবাদী মানুষদের একটি সম্মেলন ঘটাবে। আমাদের কাজ হবে প্রথমে সম্প্রতির বার্তা ছড়ানো।
‘ভারতের কলকাতার কিছু ডাক্তার হঠাৎ ঠিক করে ফেলেছেন বাংলাদেশের রুগীদের তারা দেখবেন না। চমৎকার শান্তি সেতু তার বিরোধিতা করছে এবং করে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, তার জন্য যদি দরকার হয় কোন চিকিৎসকের কাছে এলে বাংলাদেশি রোগীরা ঠিকঠাক যত্ন পাবে তাদের নামগুলো ও আমরা প্রকাশ করবো। চারদিকে মিথ্যে খবর ভূরি ভূরি। ভারতের কিছু পত্রিকা, কিছু সাইট তারা প্রতিনিয়ত মিথ্যে খবর ছড়িয়ে যাচ্ছে। শান্তি সেতু এর বিরুদ্ধে থাকছে, বিরুদ্ধে থাকবে।
প্রসঙ্গত, কবীর সুমন একজন ভারতীয় বাঙালি গায়ক, গীতিকার, অভিনেতা, বেতার সাংবাদিক, গদ্যকার ও সাবেক সংসদ সদস্য। তার পূর্বনাম সুমন চট্টোপাধ্যায়। ২০০০ সালে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে তিনি তার পুরোনো নাম পরিত্যাগ করেন। কবীর সুমন একজন বিশিষ্ট আধুনিক ও রবীন্দ্রসংগীত গায়ক। ১৯৯২ সালে তার ‘তোমাকে চাই অ্যালবাম’-এর মাধ্যমে তিনি বাংলা গানে এক নতুন ধারার প্রবর্তন করেন।