০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৩৯

কলকাতায় বাংলাদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা দেয়ার ঘোষণা

কলকাতার ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন  © সংগৃহীত

ত্রিপুরার মতো বয়কট নয়, বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে হোটেল, মানি এক্সচেঞ্জার ও পরিবহন সেক্টরের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে কলকাতার নিউ মার্কেটের মার্কুইস স্ট্রিট-ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, নিউ মার্কেট ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন এবং হোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশন। তারা জানান, আমরা বাংলাদেশিদের বয়কট করব না, যতটা পারবো তাদের নিরাপত্তা দেব। 

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার চলমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশি পর্যটকদের বয়কট করা, ভারত সরকার কর্তৃক ভিসা সীমিতকরণসহ নানা সিদ্ধান্তের কারণে দেশটির পর্যটন ব্যবসায় ধস নেমেছে। মন্দাভাব দেখা দিয়েছে কলকাতার পর্যটনেও। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার দেখানো পথে না হেঁটে নতুন ঘোষণা দিলেন কলকাতার ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশি পর্যটকদের উদ্দেশ্যে তারা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশিদের বয়কট করব না। তারা যেন নিশ্চিন্তে এখানে আসেন। যতটা পারবো তাদেরকে নিরাপত্তা দেব।’  মার্কুইস স্ট্রিট-ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি মনতোষ সাহা বলেন, কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে পর্যটকদের যে ঢল ছিল, সেটা এখন নেই। যার কারণে আমরা সবাই অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তেমনিভাবে বাংলাদেশিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। 

তিনি আরও বলেন, ‘তবে সবার আগে আমার দেশ। দুই দেশের সরকারকে নিজেদের মধ্যে বসে সুষ্ঠু সমাধান বের করার জন্য আহ্বান জানাই।’ তিনি জানান, ‘ডিসেম্বর থেকে সিজন শুরু হয়। প্রতিদিন পাঁচ থেকে সাত হাজার বাংলাদেশি নাগরিক কলকাতায় আসেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ থেকে আসা পর্যটকদের সংখ্যা ৫ শতাংশে নেমে এসেছে।’

মার্কুইস স্ট্রিট-ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ওয়েলফেয়ার সোসাইটির যুগ্ম সচিব মনতোষ সরকার জানান, নিউমার্কেট মূলত বাংলাদেশভিত্তিক অঞ্চল। বাংলাদেশি পর্যটকদের ওপর নির্ভর করে এখানকার মানি এক্সচেঞ্জ, হোটেল, পর্যটক ব্যবসা চলছে। তাই তাদের অনুপস্থিতি আমাদের এখানে প্রভাব ফেলছে। যদিও বাংলাদেশিদের আমরা বিদেশি পর্যটক হিসেবে দেখি না।’

তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের ঘরের সদস্য। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পর্যটকের সংখ্যা অনেক কম। আশা করি আগামী দিনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সম্পর্ক নষ্ট করার জন্য কিছু গুজব ছড়াচ্ছে। সেদিকে কান না দিয়ে বাংলাদেশের পর্যটকদের জানাবো তারা এখানে আসুক। কারণ, দুই দেশের মধ্যে খুব ভালো