০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩:২৯

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলায় ৩ পুলিশ বরখাস্ত, গ্রেপ্তার ৭

আগরতলায় বাংলাদশ সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে  © সংগৃহীত

ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় সাতজনকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ত্রিপুরার তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ত্রিপুরা সরকার মঙ্গলবার তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত এবং একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেছে। এ ছাড়া ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
 
ত্রিপুরার একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সোমবারের ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি সরকার। এ ঘটনায় সাব-ইন্সপেক্টর দিলু জামাতিয়া, দেবব্রত সিনহা ও জয়নাল হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া সহকারী কমান্ড্যান্ট কান্তি নাথ ঘোষকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়

এনডিটিভি বলছে, কূটনৈতিক মিশনে হামলার ঘটনার পর আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অনুমতি থাকলেও এ ধরনের কাজ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা করে হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের একটি সংগঠনের সমর্থকেরা। ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ বলে বর্ণনা করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রাপ্ত তথ্য চূড়ান্তভাবে প্রমাণ করে যে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের প্রধান ফটক ভেঙে বিক্ষোভকারীদের সেখানে ঢুকতে দেয়া হয়। এ প্রক্রিয়ায় স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে তারা পতাকার খুঁটি ভাঙচুর করে, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননা করে এবং সহকারী হাইকমিশনের অভ্যন্তরের সম্পত্তিও ক্ষতিগ্রস্ত করে। পরিতাপের বিষয়, প্রাঙ্গণ (হাইকমিশনের) রক্ষার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা শুরু থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্রিয় ছিল না।’

আরও পড়ুন: ঢাবির জগন্নাথ হলে ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী মিছিল হিন্দু শিক্ষার্থীদের

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘যেহেতু কূটনৈতিক মিশনগুলোকে যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ বা ক্ষতি থেকে রক্ষা করা ওই দেশের সরকারের দায়িত্ব, তাই ভারত সরকারকে এ ধরনের ঘটনা মোকাবিলায় অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ সরকার।’