সিলেট সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় ‘উগ্রবাদীদের’ বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা
সিলেটের সুতারকান্দি স্থলবন্দরের ওপারে ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ এলাকায় হিন্দু ঐক্যমঞ্চের কয়েকশ নেতাকর্মী বাংলাদেশ অভিমুখে মার্চ করেছে। এক পর্যায়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশেরও চেষ্টা চালায়। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও করিমগঞ্জ পুলিশের সদস্যরা কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে তাদের বাধা দেয়। বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ তুলে হিন্দু ঐক্যমঞ্চের ব্যানারে ভারতের কয়েকশ নাগরিক বাংলাদেশ অভিমুখে এ মার্চে অংশ নেন।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশ অভিমুখে এ মুভমেন্টের একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে সিলেটসহ সীমান্ত এলাকাগুলোতে তোলপাড় শুরু হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সুতারকান্দি সীমান্ত চেকপোস্টের অদূরে ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জে একটি রাস্তায় বিএসএফ জওয়ানরা সড়কে কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছেন। ব্যারিকেডের পাশেই কয়েকশ ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে আসার জন্য পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছিলো। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএসএফ জওয়ানরাও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যোগ দেন।
এদিকে বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশের ব্যারিকেডের কারণে বিক্ষোভকারী ভারতীয় হিন্দু মঞ্চের নেতারা সুতারকান্দি স্থলবন্দর পর্যন্ত আসতে পারেনি। ওখানেই তাদের আটকে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে আসামের বরাক ভ্যালীর এক হিন্দু নেতা ক্ষোভের সঙ্গে বলতে থাকেন, জীবন গেলে যাবে, তবুও তারা বাংলাদেশে যাবেন। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে তারা এই মার্চ করছেন বলে জানান।
এ ঘটনায় সিলেটের বিয়ানীবাজার ও জকিগঞ্জ সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৫২ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী হাসান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সীমান্তের অন্তত দুই কিলোমিটার দূরে ভারতের ভেতরে বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদ করেছে। এটা শেওলা সীমান্তের ওপারে। তবে বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মস্তুফা মুন্না এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।